• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অতিবৃষ্টির জেরে ৫৩ জনের প্রাণ কেড়েছে হিমাচল-উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

উত্তরাখণ্ড:- বৃষ্টির জেরে হড়পা বানে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে সবকিছু। তারপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়ঙ্কর রূপ দেখা গেল হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে। অতিবৃষ্টির জেরে ভূমিধস আতঙ্কের চেহারা নিয়েছে। তারপর ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর আবার লাল সতর্কতা জারি করেছে। অতিবৃষ্টির জেরে যে দুর্যোগের আবহ তৈরি হয়েছে হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে, তাতে ইতিমধ্যেই ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, তারপর আইএমডি

উত্তরাখণ্ড:- বৃষ্টির জেরে হড়পা বানে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে সবকিছু। তারপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়ঙ্কর রূপ দেখা গেল হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে। অতিবৃষ্টির জেরে ভূমিধস আতঙ্কের চেহারা নিয়েছে। তারপর ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর আবার লাল সতর্কতা জারি করেছে। অতিবৃষ্টির জেরে যে দুর্যোগের আবহ তৈরি হয়েছে হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে, তাতে ইতিমধ্যেই ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, তারপর আইএমডি ফের অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে লাল সতর্কতা জারি করায় আতঙ্কপুরী হয়ে উঠেছে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। আইএমডি ২৪ ঘণ্টার জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ লালা সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে যেভাবে অতি বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, তাতে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় পাহাড়ি এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ওইসব এলাকা থেকে স্থানীয় ও পর্যটকদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। সতর্কতা জারির পর প্রশাসনও তৎপর হয়েছে। হিমাচলে অবিরাম বৃষ্টি ও হড়পা বানের কারণে একের পর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে। জনসাধারণকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষত ক্ষতি হচ্ছে। তবে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ২৪ ঘণ্টা পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। লাল সতর্কতা শীঘ্রই কমলা সতর্কতায় রূপান্তরিত হবে। মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশের রাজধানী সিমলায় ভূমিধসের পর একটি কসাইখানা-সহ বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে পড়েছে। সবথেকে ভয়াবহ ও চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সিমলার কৃষ্ণনগর এলাকার পাহাড়ে। সেখানে প্রায় পাঁচ-সাতটি বাড়ি ধসে পড়ে। সামার হিল এলাকার শিব মন্দিরের নীচে ধ্বংসাবশেষে আরও বেশি লোক আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। শ্রাবণ মাসে ওই মন্দিরে অনেক পুণ্যার্থীর ভিড় ছিল। সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ধসে পড়া মন্দির এলাকায় থেকে ৯টি দেহ উদ্ধার হয় সোমবার। মঙ্গলবার আরও দুটি দেহ উদ্ধার হয়। সেখানে আরও ১০ জনের দেহ আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৩। শুধু হিমাচল প্রদেশ নয়, উত্তরাখণ্ডের অবস্থাও ভয়াবহ। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, পাউরি, তেহরি, নৈনিতাল, চম্পাওয়াত এবং উধম সিং নদর এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি।