• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

সেনার রিপোর্ট বলছে, গালওয়ান সংঘর্ষে ভারত-চিন যুদ্ধ প্রায় বেঁধে গিয়েছিল

লাদাখ, ১৪ আগস্ট– যেনতেন প্রকারে প্রতিবেশী দেশের ভূমি দখল করে চিনের উদেশ্য। আর সেই উদ্দেশে কখনো ভারত সীমান্তে নিজেদের সেনা মোতায়েন করে তো কখনো স্থায়ী ছাউনি-গোটা গ্রাম থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত তৈরী করে ফেলে লাল ফৌজ। যদিও ভারতীয় জওয়ানদের দাঁত ভাঙা জবাবে প্রতিবারই বিফলে যায় তাদের অসৎ উদ্দেশ্য। আর সেই রকমই এক ঘটনার প্রমান গালওয়ান সংঘর্ষ। 

লাদাখ, ১৪ আগস্ট– যেনতেন প্রকারে প্রতিবেশী দেশের ভূমি দখল করে চিনের উদেশ্য। আর সেই উদ্দেশে কখনো ভারত সীমান্তে নিজেদের সেনা মোতায়েন করে তো কখনো স্থায়ী ছাউনি-গোটা গ্রাম থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত তৈরী করে ফেলে লাল ফৌজ। যদিও ভারতীয় জওয়ানদের দাঁত ভাঙা জবাবে প্রতিবারই বিফলে যায় তাদের অসৎ উদ্দেশ্য। আর সেই রকমই এক ঘটনার প্রমান গালওয়ান সংঘর্ষ। 

২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকা এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায় ভারত ও চিনের সেনা। ভারত-চিন সৈনিকদের হাতাহাতিতে ফলে প্রায় যুদ্ধ বেঁধে গিয়েছিল ভারত ও চিনের মধ্যে! সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা একটি রিপোর্ট থেকে সেরকমই অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের। সোমবারই দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা বৈঠকে বসে । স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এই বৈঠকের আগেই প্রকাশ্যে এসেছে সেনার রিপোর্ট। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গালয়ানের সংঘর্ষের পরেই অন্তত ৬৮ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের তুলে নিয়ে গিয়ে সীমান্তে মোতায়েন করে ভারতীয় বায়ুসেনা। শুধু তাই নয়, ৯০টি ট্যাঙ্ক-সহ বিপুল অস্ত্রভাণ্ডারও মজুত করা হয়। সীমান্ত এলাকায় লাগাতার নজরদারির জন্য রাখা হয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান।

ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পরে খুব কম সময়ের মধ্যেই বিশাল সংখ্যক সেনাকে লাদাখ সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়। বায়ুসেনার পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করেই দুর্গম এলাকাগুলিতে সেনা জওয়ান ও প্রচুর অস্ত্র পৌঁছনো হয়। সেই সঙ্গে মোতায়েন করা হয় বায়ুসেনার সু-৩০ এমকেআই ও জাগুয়ার যুদ্ধবিমান। সীমান্ত এলাকার যাবতীয় কার্যকলাপের দিকে কড়া নজরদারি চালাত এই দুই বিমান।

সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, লালফৌজের সমস্ত গতিবিধির দিকে লক্ষ্য রাখা যায়  তার জন্য সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে মোতায়েন করা হয়েছিল নজরদারি বিমান।  সবমিলিয়ে খুব সময়ের মধ্যে ৯ হাজার টন ওজন বহন করেছিল বায়ুসেনার পণ্যবাহী বিমানগুলি। রাফালে ও মিগ বিমানগুলি যুদ্ধের জন্য একেবারে তৈরি রাখা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সাময়িকভাবে সংঘর্ষবিরতি ঘটে। তবে এখনও সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে সাময়িক সংঘর্ষবিরতি হলেও চিনের অসৎ উদ্দেশ্য আঁচ করে গালওয়ান সংঘর্ষের পরে আরও শক্তিশালী হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। লাদাখ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ- একাধিক ক্ষেত্রে সীমান্ত এলাকায় অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে সেনা। প্রসঙ্গত, গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে সীমান্ত এলাকায় দুই দেশই প্রচুর পরিমাণে বাহিনী মোতায়েন করেছে। প্রায় ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে দুই দেশ। তবে সীমান্তে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত ও চিন।