ওয়াশিংটন, ১২আগস্ট-– প্রযুক্তি খাতের কিছু স্পর্শকাতর ক্ষেত্রে মার্কিন কোম্পানিগুলোর চিনে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ মূলত কম্পিউটার চিপ নির্মাণের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে৷ প্রযুক্তির অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য সরকারকে আগে থেকে জানাতে হবে৷
ওয়াকিবহাল মহল জানাচ্ছে, এই নিষেধাজ্ঞা বহুল প্রতীক্ষিত ছিল৷ এই নির্বাহী আদেশের বলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী প্রযুক্তিবিষয়ক তিনটি খাতে চিনে মার্কিন বিনিয়োগ নিষিদ্ধ ও সীমিত করতে পারবেন৷ সেই খাতগুলো হলো সেমিকন্ডাক্টর, মাইক্রোইলেকট্রনিকস, কোয়ান্টাম ইনফরমেশন টেকনোলজিস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই৷ মার্কিন প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, এই সীমাবদ্ধতা মূলত উল্লিখিত তিনটি উপখাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে৷ তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে তারা কিছু বলেনি৷ এ বিষয়ে অবশ্য মানুষ মতামত দিতে পারবে৷
চিন যেন মার্কিন প্রযুক্তি ও এআই ব্যবহার করে সেনা বাহিনীর আধুনিকীকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে না পারে, সে লক্ষ্যে এমন নিষেধাজ্ঞা৷ যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, চিন যেভাবে মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমৃদ্ধ হচ্ছে, সেটা তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি৷ বেসরকারি ইকু্যইটি বিনিয়োগ, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, যৌথ উদ্যোগ ও নতুন বিনিয়োগ মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের আওতায় থাকবে৷
বাইডেন বলেছেন, চিনের মতো দেশের উন্নতির কারণে যে হুমকি সৃষ্টি হয়েছে, তা মোকাবিলায় জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷ বিশেষ করে স্পর্শকাতর প্রযুক্তি এবং সামরিক বাহিনী, গোয়েন্দা তৎপরতা, নজরদারি ও সাইবার সক্ষমতার ক্ষেত্রে এই জাতীয় জরুরি অবস্থা প্রযোজ্য হবে৷ এদিকে, চিন বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই আদেশে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার তাদের আছে৷ চিনের বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এই আদেশ সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও উদ্যোক্তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে, সেই সঙ্গে চিনের আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বাণিজ্যব্যবস্থা ব্যহত হবে৷
