• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

প্রয়াত খ্যাতনামা বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ 

কলকাতা, ১১ অগাস্ট – প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ। আজ, শুক্রবার সকালে কলকাতার এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। ‘সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’-এর অধিকর্তার পদে ছিলেন প্রফেসর বিকাশ সিংহ। ‘ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার’-এর ‘হোমি ভাবা অধ্যাপক’ পদেও ছিলেন তিনি। পরমাণু গবেষণার পাশাপাশি বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে

কলকাতা, ১১ অগাস্ট – প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ। আজ, শুক্রবার সকালে কলকাতার এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। ‘সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’-এর অধিকর্তার পদে ছিলেন প্রফেসর বিকাশ সিংহ। ‘ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার’-এর ‘হোমি ভাবা অধ্যাপক’ পদেও ছিলেন তিনি। পরমাণু গবেষণার পাশাপাশি বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে।  পদার্থ বিজ্ঞানে অবদানের জন্য ২০১০ সালে তিনি পদ্মভূষণ সম্মান পান ।তাঁর প্রয়াণে টুইটে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  

পরমাণু বিজ্ঞানী তথা পদার্থ বিজ্ঞানের গবেষক বিকাশ সিংহের জীবনাবসান ঘটল। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন বেসরকারি এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিকাশ সিংহ। শুক্রবার সকালে হাসপাতালেই তাঁর জীবনাবসান হয়।  এরপর মিন্টো পার্কের কাছে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এই খ্যাতনামা বিজ্ঞানীর মরদেহ। তাঁর প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট লেখেন, মহান বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহের অকাল প্রয়াণে আমি শোকাহত।  বাংলার এই কৃতি সন্তান , প্রতিভাবান পরমাণু ও পদার্থবিজ্ঞানী শুধু জ্ঞানের পরিধিতে নয়, তাঁর অবদানের মাধ্যমে আমাদের গর্বিত করেছেন।  ২০২২ সালে আমরা তাঁকে আমাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘বঙ্গবিভূষণ’ দিয়েছিলাম।  মঞ্চে তাঁর উপস্থিতিতে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি।  আমরা তাঁকে ২০২২-এ রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার-এ সম্মানিত করেছিলাম।  আমি তাঁর পরিবার, বন্ধু, ছাত্র ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।     

১৯৪৫ সালে মুর্শিদাবাদের কান্দি রাজ পরিবারের জন্ম হয় বিকাশের। বিকাশ সিংহর বাবার নাম বিমলচন্দ্র সিংহ এবং দাদা অতীশ সিংহ। তাঁর দু’জনেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলিজিয়েট স্কুলে পথ শেষ করে বিকাশ সিংহ প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট করেন। এর পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। দেশে ফিরে এসে যোগ দিয়েছিলেন ‘ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার’ -এ। কলকাতায় অবস্থিত এই গবেষণা সংস্থার  -এর ‘ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার’-এর প্রতিষ্ঠা এবং সেটিকে বিশ্বমানের গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এগিয়ে দেওয়ায় বিশেষ ভূমিকা ছিল এই বিজ্ঞানীর । 

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন তিনি। খড়গপুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির সিনেটের সদস্য হন।  ভারত সরকারের মন্ত্রিপরিষদের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য পদে কাজ করেছেন। কয়েক বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে সিলেবাস কমিটির উপদেষ্টা হিসেবেও নিযুক্ত হন তিনি।