• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

১২৪ এর সঙ্গে ১৫০ও, বিতর্কিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পাল্টানোর প্রথম ধাপ

দিল্লি, ১১ আগস্ট– বদলে যাচ্ছে বিতর্কিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারা। পরিবর্তে বেশকিছু সংযোজন করা হবে ১৫০ ধারায়। এর আওতায় দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা তথা একতাকে বিপন্ন করে তোলার অপরাধে মামলা রুজু করা যাবে। শুক্রবার এই মর্মে লোকসভায় একটি বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও এই পরিবর্তন নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত অভিজ্ঞ মহল।

দিল্লি, ১১ আগস্ট– বদলে যাচ্ছে বিতর্কিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারা। পরিবর্তে বেশকিছু সংযোজন করা হবে ১৫০ ধারায়। এর আওতায় দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা তথা একতাকে বিপন্ন করে তোলার অপরাধে মামলা রুজু করা যাবে। শুক্রবার এই মর্মে লোকসভায় একটি বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

যদিও এই পরিবর্তন নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত অভিজ্ঞ মহল। কারণ বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই বিল হচ্ছে ‘গোয়ান্তানামো বে’ তৈরির প্রথম ধাপ। তর্কের খাতিরে ঔপনিবেশিক ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’ আইন সরলেও তার জায়গায় যে ধারা আসছে তার প্রয়োগ অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে। কোনও বিচার বা নাগরিক অধিকার ছাড়াই অভিযুক্তকে গারদে পোড়া যেতে পারে। জঙ্গি বা জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে যে কোনও অভিযুক্তেরই ন্যূনতম সাংবিধানিক অধিকারটুকু কেড়ে নিতে পারবে তদন্তকারী সংস্থাগুলি।

ভারতীয় সংবিধানের ১২৪(ক) ধারায় ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’ বা ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ বলতে এমন অপরাধ বোঝায়, যেখানে কেউ কথা, লেখা, বা আচরণের মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ালে, আইন অমান্য করলে বা হিংসায় উস্কানি দিলে বা করার চেষ্টা করলে, যা রাষ্ট্র বা আইন মেনে প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে। তা হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা যায়। সাম্প্রতিক অতীতে ব্রিটিশ জমানার এই আইন ঘিরে কিছু কম বিতর্ক হয়নি। এই আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সভা-সমাবেশ দমন করা, বিপ্লবীদের কার্যধারা কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে স্বাধীনতা আন্দোলনের গতিকে শ্লথ করে দেওয়া। কিন্তু ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’র অভিযোগ এনে বিরোধী স্বর দমনের অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। বিতর্কিত আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে ২০২২ সালে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। আজ এহেন পরিস্তিতিতে বাদল অধিবেশনের শেষদিনে ১২৪(ক) ধারায় পরিবর্তন আনতে সংসদের নিম্নকক্ষে বিল পেশ করেন শাহ। সেটিকে পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হবে বলে খবর।

সূত্রের খবর, নতুন বিলে ১২৪(ক) ধারার পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহৃত হবে সংযোজন, সহকারে ১৫০ ধারা। সেখানে বলা হয়েছে, “কেউ কথা, লেখা, বা আচরণের মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ালে, আইন অমান্য করলে বা হিংসায় উস্কানি দিলে বা করার চেষ্টা করলে, যা রাষ্ট্র বা আইন মেনে প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে। কেউ বিচ্ছিন্নতাবাদ, সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা তথা একতাকে বিপন্ন করে তুললে যাবজ্জীবন জেল এবং জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে।”

উল্লেখ্য, সন্ত্রাসদমনের নামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমার্থক কিউবায় আমেরিকার গোয়ান্তানামো বে কারাগার। জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সেখানে নির্বিচারে সিআইএ-র থার্ড ডিগ্রির মুখে পড়েছে বহু নিরীহ মানুষ বলে অভিযোগ।