দিল্লি, `১০ আগস্ট – অশান্ত মণিপুরে আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে অসম রাইফেলস। সে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে মোতায়েন করা এই নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আগেও পক্ষপাত করার অভিযোগ উঠেছে। এ বার এই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেই রাজ্য থেকে আসাম রাইফেলসকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলল মণিপুরের ৪০ জন মেইতেই বিধায়ক। নিজেদের দাবির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছেন তাঁরা। এদিকে মণিপুরে হিংসার ঘটনায় অসম রাইফেলসের বিরুদ্ধে এফএইআর করেছে সে রাজ্যের পুলিশ। অভিযোগ, তারা মণিপুর পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়েছে এবং কুকি জঙ্গিদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
মণিপুরের ৪০ জন মেইতেই বিধায়কের চিঠিতে অসম রাইফেলসের বদলে মণিপুরে কোনও ‘বিশ্বাসযোগ্য নিরাপত্তা বাহিনী’ মোতায়েন করার দাবি জানানো হয়েছে। মণিপুরে হিংসা নিয়ে একাধিকবার বিতর্কে জড়ায় অসম রাইফেলস। তাদের বিরুদ্ধে কুকিদের পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তুলেছে মেইতেইরা। মেইতেই সংগঠনগুলির অভিযোগ, অসম রাইফেলসের প্রত্যক্ষ মদতেই মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটে চলেছে এই রাজ্যে। কিছুদিন আগে মণিপুর পুলিশও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিল অসম রাইফেলসের বিরুদ্ধে। মেইতেইদের উপরে অত্যাচারে অভিযুক্ত কুকি সংগঠনগুলিকে আড়়াল করেছেন অসম রাইফেলসের আধিকারিকেরা, এমন অভিযোগ উঠেছে । অসম রাইফেলস-এর নবম ব্যাটেলিয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করেছে অসম রাইফেলস।
কিছু দিন আগেই মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ চৌকি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অসম রাইফেলসের জওয়ানদের, দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআরপিএফকে। অসম রাইফেলসের বিরুদ্ধে হিংস্র আচরণ করার অভিযোগে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুর জেলায় এই বাহিনীর বিরুদ্ধে মিছিলও হয়েছে।
এদিকে দিন কয়েক আগে অসম রাইফেলস নিয়ে মুখ খোলে ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয় অসম রাইফেলস-এর সঙ্গে দাঁড়িয়ে থেকে মণিপুরে শান্তি ফেরানোর কাজ করবে সেনা। পাশাপাশি সেনার বিবৃতিতে দাবি করা হয় , অসম রাইফেলস মানুষকে বাঁচানোর জন্য কাজ করছে মণিপুরে। সেনার পাল্টা অভিযোগ, অসম রাইফেলসকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। সেনাবাহিনীর দাবি, মেইতেই এবং কুকি অধ্যুষিত অঞ্চলের মধ্যে বাফার জোনে ছিল অসম রাইফেলস। সেই বাফার জোন রক্ষা করেছে অসম রাইফেলস।