১১ আগস্ট বাংলায় আসছেন জেপি নাড্ডা। ১৩ আগস্ট বিকেলে তাঁর দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা। বঙ্গ–বিজেপি সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর একটি বেসরকারি হোটেলে রাতে থাকার কথা । ১২ আগস্ট পৌঁছবেন হাওড়ার বাগনানে। সেখানে‘পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে’ যোগ দেবেন এবং বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়ার কর্মসূচি ঠিক রয়েছে। পরে তা একাধিক কারণে বদলও হতে পারে। এই পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলার পাশাপাশি দলের পূর্ব ক্ষেত্রের বাকি রাজ্যের জেলা পরিষদ সদস্যরা হাজির থাকবেন। বিজেপির পূর্ব ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে বাংলা ছাড়া বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, আন্দামান ও নিকোবর। এ ছাড়াও রয়েছে অসম, ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বের সব রাজ্য।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ৩১ জন জেলা পরিষদ জিতেছেন। এই ৩১ জন সহ রাজ্যের জেলা পরিষদ ও বিভিন্ন স্বশাসিত প্রশাসনিক সংস্থার মোট ১৩৪ জন সদস্য নাড্ডার বৈঠকে যোগ দেবেভি বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে শনিবার বিকেলে সায়েন্ট সিটিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা আছে নাড্ডার। রবিবার সকালে দক্ষিণেশ্বরে যাওয়ার কথা আছে। যেতে পারেন এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর বাড়িতে। সেখান থেকে ফিরে ওয়েস্টিনে সাংসদ–বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি দেউলটিতেও যাওয়ার কথা তাঁর। দক্ষিণেশ্বরে পুজো দেওয়ার পর বিজেপির সল্টলেকের পার্টি অফিসে গিয়ে বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি।
রবিবার দুপুরে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে এক বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দর থেকে বিমানে দিল্লি ফেরত যাবেন নাড্ডা।
আরএসএস সূত্রে খবর , শুক্র ও শনিবার কলকাতায় আরএসএস-এর সদর দফতর কেশব ভবনে বৈঠক হবে। বৈঠকে হাজির থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও বিহারের নেতারা। সেই বৈঠকে যোগদান করতেই কলকাতায় আসছেন আরএসএস-এর ২ শীর্ষ নেতা।
একই সময়ে রাজ্যে বিজেপি সভাপতি ও আরএসএস প্রধানের বাংলায় আসার কর্মসূচির মধ্যে যোগ খুঁজছে রাজনৈতিক মহল । তাদের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনকে মজবুত করতে রূপরেখা তৈরি করে দিতে পারেন তাঁরা। যদিও নাড্ডা ও ভগবৎ একসঙ্গে কোনও বৈঠকে হাজির থাকবেন কি না তা এখনও জানা যায়নি।