• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মণিপুরের ঘটনা লজ্জাজনক : অমিত শাহ  

দিল্লি, ৯ অগাস্ট –  মণিপুর ইস্যুতে সংসদে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণে অমিত শাহ বুধবার লোকসভায় বলেন, ‘হিংসা হয়েছে এটা মানছি। এটা যন্ত্রণার।  এটা আমাদের কাছে লজ্জার।  এই ধরণের ঘটনা কেউ সমর্থন করতে পারে না। ‘ পাশাপাশি তিনি এদিন এও বলেন যে  এই ইস্যুতে রাজনীতি করা আরও লজ্জার।’ মণিপুরের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত

দিল্লি, ৯ অগাস্ট –  মণিপুর ইস্যুতে সংসদে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণে অমিত শাহ বুধবার লোকসভায় বলেন, ‘হিংসা হয়েছে এটা মানছি। এটা যন্ত্রণার।  এটা আমাদের কাছে লজ্জার।  এই ধরণের ঘটনা কেউ সমর্থন করতে পারে না। ‘ পাশাপাশি তিনি এদিন এও বলেন যে  এই ইস্যুতে রাজনীতি করা আরও লজ্জার।’

মণিপুরের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয় বলে এদিন সংসদে বলেন অমিত শাহ।  তিনি এদিন লোকসভায় বলেন, “এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা লজ্জার।”  তিনি বলেন, “আমি এই বিষয়ে একমত যে মণিপুরে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, যা কেউ সমর্থন করতে পারে না। তবে প্রথম দিন থেকেই আমি মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।  কিন্তু বিরোধীরাই চায় না আমি কথা বলি।  কিন্তু তারা আমাকে চুপ করাতে পারবে না। ”  
মণিপুর ইস্যুতে সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ” মণিপুরে ৬ বছরে একদিনও কার্ফু বা বনধ হয়নি। মায়ানমারের সীমান্ত দিয়ে কুকি ভাইরা এখানে আসতে শুরু করেছিলেন। এটি নিয়ে সেখানকার আদিবাসীরা সুরক্ষার অভাব বোধ শুরু করেন। তবে ওখানে ফেন্সিং নেই। তবে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি ফেন্সিংয়ের। তবে মায়ানমার থেকে এব্যাপারে শরনার্থীদের আসাটা দীর্ঘদিনের ব্যাপার।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ” কুকিদের আমরা পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। তবে যে হারে সংখ্যা বাড়তে থাকে তাতে সুরক্ষার অভাবও বাড়তে থাকে। তারা জঙ্গলগাঁও ঘোষণা করে, আর এরপরই অস্থিরতা তৈরি হয়। ৩ জুলাই একটি সংঘর্ষ হয়েছিল। তারপরই হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এটা নিয়ে তুলনা করবেন না। এটা বুঝতে হবে মায়ানমার থেকে আসা মাদক সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে ।” অমিত শাহ আরও বলেন, ” আমরা কোনও ব্যাপার থেকে পালাতে চাইছি না। ১৯৯৩ সালে নাগা-কুকি হিংসা হয়েছিল। সেই সময় ৭৫০ জন মারা যান। প্রধানমন্ত্রী কেন যাননি বলছেন ? আপনাদের সময় ট্রাইবাল মিনিস্টার গিয়েছিলেন ? সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতিও দেননি। আর এখন বলছেন প্রধানমন্ত্রী কেন যাননি ? আমি গোটা দেশকে বলছি এটা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।” এদিন সংসদে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী , কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, “মণিপুরে শান্তি ফিরে আসুক এটা আমরা সকলেই চাইছি। “
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। পরিবারতন্ত্র নিয়ে ফের খোঁচা দেন তিনি । সঙ্গে কংগ্রেস শাসনকাল নিয়েও সমালোচনা করেন অমিত শাহ। কেন নরেন্দ্র মোদির উপর  ভারতের আস্থা রয়েছে তা বোঝাতে তথ্য-পরিসংখ্যান দেন  অমিত শাহ। তাঁর কথায় , “স্বাধীনতার পর যদি কোনও সরকারের ওপর সবথেকে বেশি আস্থা থাকে, তা হল মোদি সরকার। কোনও ছুটি না নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৭ ঘণ্টাই কাজ করেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ফের একবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।”
মোদীর ‘ক্যুইট ইন্ডিয়া’ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এদিন আনীত শাহ  বলেন, “দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, তোষণের রাজনীতির বিরুদ্ধে মোদি সরকার সবসময় রুখে দাঁড়িয়েছে। তাই দুর্নীতি এবং পরিবারতন্ত্রকে দেশ ছাড়ার কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি।”
অমিত শাহ এদিন অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, “অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে মাত্র এক ভোটে পরাজয় হয়েছিল। বাজপেয়ী বলেছিলেন সংসদের রায় মাথা পেতে নেব।”
এদিন জবাবি ভাষণে কাশ্মীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন অমিত শাহ।  তিনি বলেন, কংগ্রেস আমলে কাঁটাতার পেরিয়ে এসে আতঙ্কবাদীরা মাথা কেটে নিয়ে যেত।  আমরা মোদি সরকারের আমলে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে তার উপযুক্ত জবাব দিয়েছি।  তিনটি পরিবার কাশ্মীরে টানা শাসন করেছে বলে এদিন কটাক্ষ করেন অমিত শাহ।  তখন রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনও হয় নি বলে অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।