• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

এরিস তৈরি করে বিশ্বে হানা দিতে তৈরি ওমিক্রন

ফের ভয় ধরাতে শুরু করল করোনা৷ এতদিন কোভিড সেভাবে মাথাচাড়া দেয়নি৷ ফের বিশ্বে করোনার নতুন প্রজাতি হানা দিয়েছে৷ ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি জানিয়েছে, ওমিক্রন তার জিনের বদল ঘটিয়ে নতুন এক উপপ্রজাতি তৈরি করেছে যার নাম ‘এরিস’ (ইজি.৫.১)৷ ব্রিটেনে প্রতি সাতজনের কোভিড আক্রান্তের একজনের শরীরে এই উপপ্রজাতির দেখা মিলেছে৷ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ওমিক্রনের মতোই এই

ফের ভয় ধরাতে শুরু করল করোনা৷ এতদিন কোভিড সেভাবে মাথাচাড়া দেয়নি৷ ফের বিশ্বে করোনার নতুন প্রজাতি হানা দিয়েছে৷ ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি জানিয়েছে, ওমিক্রন তার জিনের বদল ঘটিয়ে নতুন এক উপপ্রজাতি তৈরি করেছে যার নাম ‘এরিস’ (ইজি.৫.১)৷ ব্রিটেনে প্রতি সাতজনের কোভিড আক্রান্তের একজনের শরীরে এই উপপ্রজাতির দেখা মিলেছে৷ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ওমিক্রনের মতোই এই প্রজাতিও দ্রুত মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে৷ এরিসের সংক্রমণের জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে৷
ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইজি.৫.১ বা এরিস খুব দ্রত ছডি়য়ে পড়ছে৷ এক সপ্তাহেই এরিস আক্রান্তের হার ১৪ শতাংশ ছাডি়য়ে গেছে৷ অন্তত ৪ হাজার জন করোনা আক্রান্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, খুব তাড়াতাডি় ছড়াতে পারে এই ভাইরাস৷ এর সংক্রমণের হারও বেশি৷
ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, নতুন এই প্রজাতিতে বার বার মিউটেশন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ যার মধ্যে স্পাইক প্রোটিনেই (s) বহুবার অ্যামাইনো অ্যাসিডের কোড বদলে গেছে৷ মানুষের শরীরে এই প্রজাতি খুব দ্রুত ছড়াতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷
ওমিক্রন এই উপপ্রজাতি কতটা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত খুব জটিল রোগ হতে এখনও দেখা যায়নি৷ এটি ফের অতি মহামারী প্যানডেমিক তৈরি করবে নাকি এন্ডেমিকের পথে যাবে সেটা সময়ই বলবে, তবে এই প্রজাতি যেহেতু খুব দ্রুত মানুষের শরীরে ছডি়য়ে পড়তে পারে তাই উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷ আরও একটা বৈশিষ্ট্য রয়েছে এরিসের৷ এটি অ্যান্টিবডির ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে৷ অ্যান্টিবডি ভাইরাল স্ট্রেনের সঙ্গে জুডে় গিয়ে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়, কিন্ত্ত এরিসের এমন ক্ষমতা আছে যা অ্যান্টিবডির গুণই নষ্ট করে দিতে পারে৷
ভাইরোলজিস্টদের মতে, সংক্রামক ভাইরাস যত বেশি মানুষের শরীরে ছড়াবে, ততই তার জেনেটিক সিকুয়েন্স বা জিনগত বিন্যাসের বদল হবে৷ মানুষের শরীরে ছড়াতে হলে ভাইরাসকে সংখ্যায় বাড়তে হবে, তাই দ্রুত তার বিভাজন হবে৷ আর যত বেশি বিভাজন হবে ততই ভাইরাস নিজেকে নতুন করে গডে়পিটে নেবে৷ সংক্রামক থেকে অতি সংক্রামক হয়ে উঠবে৷