• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘পরিকল্পনা’ করেই নুহের দাঙ্গা, বিস্ফোরক দাবি হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজের

চন্ডিগড়, ৫ আগস্ট– সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জ্বলছে হরিয়ানার নুহ। সেখান থেকে অশান্তি ছড়িয়েছে দিল্লি সংলগ্ন গুরুগ্রামেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে হরিয়ানার সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে, নুহের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে ‘বড় ষড়যন্ত্র’ বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ। অন্যদিকে, নুহের এই ঘটনায় বিজেপি সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছে বিরোধী শিবির। তাদের অভিযোগ, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোটের রাশ

চন্ডিগড়, ৫ আগস্ট– সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জ্বলছে হরিয়ানার নুহ। সেখান থেকে অশান্তি ছড়িয়েছে দিল্লি সংলগ্ন গুরুগ্রামেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে হরিয়ানার সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে, নুহের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে ‘বড় ষড়যন্ত্র’ বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ।
অন্যদিকে, নুহের এই ঘটনায় বিজেপি সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছে বিরোধী শিবির। তাদের অভিযোগ, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোটের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে গেরুয়া শিবির এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় উস্কানি দিয়েছে। ২০২৪-এর আগে হরিয়ানায় যদি সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ প্রকট হয় তাহলে একটা বড় অংশের ভোট মোদি সরকারের পক্ষেই থাকবে। সংবাদমাধ্যমে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ জানান, “নুহতে যা ঘটেছে পূর্ব পরিকল্পিত। মানুষ মন্দির সংলগ্ন পাহাড়ে লাঠি, অস্ত্র নিয়ে উঠে পড়েছিল। সেখান থেকে গুলি চালানো হয়েছিল, পাথর ছোঁড়া হয়েছিল। আগে থেকে হামলার পরিকল্পনা না থাকলে কী করে এগুলো সম্ভব! কেউ না কেউ নিশ্চয়ই তাদের অস্ত্রের জোগান দিয়েছে। নয়তো ওই অস্ত্রগুলি কোথা থেকে এল?” তিনি আরও বলেন,”পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। তারা এমন কিছু তথ্য পেয়েছে যা প্রমাণ করে নুহতে যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল তা পূর্বপরিকল্পিত। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছি। যারা এই ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছে তাদের খুঁজে বার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।” 

উল্লেখ্য, গত সোমবার বিজেপিশাসিত হরিয়ানার নুহ-তে ‘ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা’র আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গুরুগ্রাম-আলোয়ার হাইওয়ের মিছিলে বাধা দেয় একদল যুবক। তারা মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। তার জেরেই তুমুল অশান্তি শুরু হয়। গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটে। হামলা চালানো হয় ধর্মীয় স্থানেও। এই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। আহত হয়েছেন বহু। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭৬ জনকে। আটক ৯০ জনেরও বেশি।