দিল্লি, ৪ আগস্ট –– ইন্ডিয়া জোট তৈরির পর থেকেই মোদির নিশানায়। প্রায় প্রত্যেকদিন ২৬টি বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’-কে নানান নামে ভূষিত করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। জোট গঠনের ক’দিন পরেই বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে মোদি জোটকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গেও তুলনা করতে ছাড়েননি। এমনকী একটি মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন সিমির কথাও বিরোধী জোটকে আক্রমণ করতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এবার বিরোধী জোটকে ‘ঘমন্ডিয়া’ অর্থাৎ অহংকারী নাম দিয়েছেন। আসলে জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস। আর এই কংগ্রেসকে নিশানা করেই প্রধানমন্ত্রী এই শব্দটি বাছাই করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সংসদ চলাকালে এনডিএ-র ৩৩০জন সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মোট ১১টি বৈঠক হবে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী বিহারের এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে বিজেপি ছাড়াও আরও চারটি আঞ্চলিক দলের সাংসদ এবং নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই বিহারের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়া জোটের প্রসঙ্গ টেনে পরামর্শ দেন, এই জোটকে ডাকুন ‘ঘমন্ডিয়া’ বলে।
এনডিএ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী এনডিয়ের প্রসঙ্গে বলেন, এনডিএ অন্য জোটের থেকে আলাদা। এখানে সব দলের সমান সম্মান। এই প্রসঙ্গে বিহারের দৃষ্টান্ত দিয়ে মোদী বলেন, নীতীশ কুমার আমাদের ছেড়ে ইন্ডিয়া জোটের হাত ধরেছেন। অথচ আমরা ওঁকে বছরের পর বছর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সমর্থন জুগিয়েছি। তখনও নীতীশজির দলের বিধায়ক সংখ্যা বিজেপির থেকে বেশি ছিল না।
অকালি দলকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ওই দল সুবিধাবাদী। এনডিএ-তে থেকে পাঞ্জাবে সরকার চালিয়েছে। তারাই স্রেফ কৃষি আইনের বিরোধিতা করে এনডিএ ছেড়ে গিয়েছে।
তবে মোদির এই লাগাতার ইন্ডিয়া বিরোধিতায় বিরোধী শিবির নাকি বেশ খুশি। কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতার কথায়, প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণেই বোঝা যাচ্ছে, বিরোধীরা তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি ভয় পেয়েছেন। এটা স্পষ্ট বিরোধীদের উপেক্ষা করতে পারছেন না।