ওড়িশা:- ওড়িশা মানেই পুরী। আর খুব কম মানুষই আছে যারা পুরীতে যায়নি। পুরীর আশপাশে চিল্কা পর্যন্ত গিয়েই থেমে যায় সবাই। কিন্তু জানেন কি এই পুরীর কাছেই রয়েছে সুন্দর একটা নেচার্স ক্যাম্প। ভুবনেশ্বর থেকে তার দূরত্বও খুব বেশি নয়। যার নাম ডেরাস নেচার্স ক্যাম্প। বর্ষাকাল মানেই পুরীতে বেড়াতে যাওয়ার সময়। সেই সঙ্গে বর্ষাকালে তো আর পাহাড়ে যাওয়া যায় না তখন সমুদ্র ছাড়া উপায় নেই। কাজেই পুরী আর দিঘা তখন হয়ে ওঠে একমাত্র বে়ড়ানোর জায়গা। যদিও পুরীতে সারাবছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে। জগন্নাথ মন্দির দর্শন করতে যান সকলে। পুরীর আশপাশেও যে অনেক অফবিট জায়গা রয়েছে সেটা অনেকেই এখনও জানেন না। যাঁরা ভাবছেন পুরী ঘুরতে যাবেন চার-পাঁচ দিনের ছুটিতে তাঁরা পুরী বেড়িয়ে চলে আসতে পারেন এই অফবিট জায়গায়। যার নাম ডেরাস নেচার্স ক্যাম্প। ভুবনেশ্বর থেকে এর দূরত্ব খুব বেশিও নয়। ভূবনেশ্বর থেকে গাড়িতে চলে আসা যায়। ডেরাস নেচার্স ক্যাম্পে থাকারও জায়গা রয়েছে। ডেরাস ড্যামের চারপাশ জুড়ে তৈরি হয়েছে এই নেচার্স ক্যাম্পটি। বর্ষা জলে ভরে যায় ডেরাস ড্যাম। তখন আরও সুন্দর দেখায়। ডেরাস ড্যামকে ঘিরেই রয়েছে জঙ্গল। ভুবনেশ্বরের চন্দ্রকা নেচার্স ক্যাম্পের অংশ এটি। এখানে জঙ্গল সাফারিও করা যায়। তবে বর্ষাকালে জঙ্গল সাফারি না যাওয়াই ভাল। তার বদলে ওয়াচ টাওয়ারে বেশ কিছুটা সময় চুপ করে বসে থাকলে অনেক প্রাণীর আনাগোনা দেখা যায় অনেরক সহজে। ভুবনেশ্বর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে ডেরাস নেচার্স ক্যাম্প। ওড়িসা সরকার এখানকার সব ব্যবস্থাপনা করে থাকে। এই নেচার্স ক্যাম্পে প্রচুর ময়ুর রয়েেছ। ড্যামে যাওয়ার রাস্তায় দেখা যায় অসংখ্য মায়ুরের আনাগোনা। ড্যামের উপরে উঠে যাওয়া যায়। সেখান থেকে অসাধারণ লাগে সূর্যাস্ত দেখতে। বেশ কিছুটা সময় এখানে কাটিয়ে দেওয়া যায়। নিরিবিলিতে অনেকটা সময় কাটিয়ে দেওয়া যায় এই ডেরাস নেচার্স ক্যাম্পে। বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই আরো মোহময় হয়ে ওঠে এখানকার পরিবেশ।