মুম্বই, ২ আগস্ট– রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর কনস্টেবল চেতন সিং গত সোমবার নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে গুলি করে খুন করেছিল তার সহকর্মী সহ ৩ যাত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে পালঘরের কাছে জয়পুর-মুম্বই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেসে। এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও নাকি ক্রমাগত স্লোগান দিতে থাকে অভিযুক্ত কনস্টবল। আর এরপরই অভিযোগ ওঠে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে। তবে অভিযুক্তের পরিবারের অভিযোগ, চেতন সিং মানসিক সমস্যায় ছিলেন। এমনকী মস্তিস্কেও রক্ত জমাট বেঁধেছিল।
সূত্রের খবর, চেতন তার বাবার মৃত্যুর পর আরপিএফ কনস্টেবল হিসেবে চাকরি পান। এদিকে তার ভাই লোকেশ মথুরায় ট্রাক ড্রাইভার হিসেবে কাজ করে। পরিবার জানিয়েছে, ‘চেতন কখনওই কোনও বিবাদে জড়ায়নি। বাবার মৃত্যুর পর সে গত ১৪ বছর ধরে রেলওয়েতে কাজ করছে। কিন্তু কখনও নিজের সহকর্মীদের সঙ্গে কোনও ঝগড়া ঝামেলা করেছে বলে অভিযোগ ওঠেনি।’ সেই চেতন কেন হঠাৎ এই কাজ করল তাই এখন ভাবাচ্ছে পরিবার থেকে তদন্তকারী আধিকারিকদেরও।
অভিযুক্ত আরপিএফ কর্মীর বাড়ি উত্তর প্রদেশের মথুরায়। সেখানে তার পরিবারের সঙ্গে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তাঁরা জানান, চেতন সিং খুবই চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। উনি মানসিকভাবে বেশ চাপে ছিলেন। সে কথা সহকর্মীদেরও জানিয়েছিল চেতন। তার শ্যালিকা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই জামাইবাবু মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। ডিপ্রেশনের ওষুধও খেতে হত তাঁকে। মাসকয়েক আগে তাঁর মস্তিষ্কে ব্লাড ক্লট ধরা পড়েছিল।’ এ কথাও অভিযুক্ত রেল পুলিশের পরিবারের কাছে জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্নের জবাবে শ্যালিকা বলেন, ‘না, জামাইবাবুর কোনও রাগের সমস্যা ছিল না। কিন্তু তিনি সবসময় টেনশন এবং চাপের মধ্যে থাকতেন। যেহেতু বেশিরভাগ সময়টাই তাঁকে পরিবার থেকে দূরে থাকতে হত, তাই সময়মতো ওষুধ খেতেন কিনা তা জানার কোনও উপায় নেই।’