দিল্লি, ৩০ জুলাই – চন্দ্রযান-৩-এর সফল উৎক্ষেপণের পর সাতটি বিদেশি স্যাটেলাইট নিয়ে ভারতের রকেট পাড়ি দিল মহাকাশে। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র তত্ত্বাবধানে রবিবার ভোরে সিঙ্গাপুরের সাতটি কৃত্রিম উপগ্রহ ইসরোর পিএসএলভি-সি৫৬ রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে। ওই কৃত্রিম উপগ্রহগুলিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করেছে ইসরোর মহাকাশযান। পিএসএলভি-সি৫৬/ডিএস-এসএআর এই মিশনের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের সাতটি স্যাটেলাইট মহাকাশে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে বলে খবর।
ইসরোর তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, ‘‘ভারত এবং সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে মহাকাশকেন্দ্রিক আরও এক সাফল্য এল। ইসরোর মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের সাতটি কৃত্রিম উপগ্রহের উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে।’’রবিবার ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে পিএসএলভি-সি৫৬ রকেটটির উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের যে সাতটি কৃত্রিম উপগ্রহ ইসরোর রকেটে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে, তার মধ্যে প্রাইমারি উপগ্রহটির নাম ডিএস-এসএআর এবং ছ’টি সহকারী উপগ্রহ রয়েছে তার সঙ্গে। মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে এই উপগ্রহগুলি পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণ করবে এবং ছবি তুলে পাঠাবে। ডিএস-এসএআর স্যাটেলাইটটির ওজন ৩৬০ কিলোগ্রাম। ৫৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীর নিরক্ষীয় কক্ষপথের কাছে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।ডিএস-এসএআর উৎক্ষেপণের সঙ্গে সঙ্গে ছয়টি সহকারী স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ভেলোক্স এম, আর্কেড , স্কুব-২, নুস্পেস-এর দ্বারা নির্মিত একটি উন্নত ন্যানো স্যাটেলাইট , গ্যালাসিয়া, ওআরবি-১২ স্ট্রিডার।
প্রসঙ্গত, এই স্যাটেলাইট মিশনটি সিঙ্গাপুর সরকারের চতুর্থ পিএসএলভি মিশন। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৩১টি বিদেশি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল ইসরো। চন্দ্রযান-৩-এর সফল উৎক্ষেপণ এবং পর্যালোচনা নিয়ে এমনিতেই ইদানীং চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে ইসরো। গত ১৪ জুলাই তারা চন্দ্রযান-৩ মহাকাশে পাঠিয়েছে, যার গন্তব্য চাঁদ।