কলকাতা:- সুপ্রিমকোর্টের রায় অনুযায়ী ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইডি-র ডিরেক্টর পদে থাকবেন সঞ্জয় কুমার। কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রায়। যদিও কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিল, অক্টোবরের ১৫ তারিখ অবধি ইডি ডিরেক্টরকে বহাল রাখার জন্য।
সঞ্জয় কুমার মিশ্র যদি ইডি ডিরেক্টর না থাকেন তাহলে তাঁর অনুপস্থিতিতে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের রিভিউয়ের কাজ ব্যাহত হবে। সূত্রের খবর, গত ১১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টই বলেছিল, সঞ্জয় কুমার মিশ্রর কার্যকালের মেয়াদ তৃতীয়বার বৃদ্ধি অবৈধ। তবে কেন্দ্র জাতীয় স্বার্থের কথা তুলে ইডি ডিরেক্টরকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্বপদে বহাল রাখার আর্জি জানায়। যদিও ১৫ অক্টোবর নয়, ১৫ সেপ্টেম্বর অবধি সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিচারপতি বিআর গভাই, বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, এরপর আর কোনওভাবেই মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত আবেদন গৃহীত হবে না। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স দেশের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিংয়ের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে। সঞ্জয় কুমার মিশ্র এই প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি এই মাসেই অবসর গ্রহণ করলে গোটা প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে বলে দাবি কেন্দ্রের। যদিও বিচারপতি গভাই এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বলেন, এই বক্তব্য়ের মাধ্যমে কি এই চিত্রটিই উঠে আসছে না যে, গোটা দফতরে একজনই যোগ্য এবং বাকিরা অযোগ্য? একজন না থাকলে চলবে না। মেহতা বলেন, কেউ অপরিহার্য নয়। এফএটিএফ পাঁচ বছর ধরে যে রিভিউ করছে তার উপর নির্ভর করছে দেশের ক্রেডিট রেটিং। এই ক্রেডিট রেটিং বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি মেয়াদ বাড়ানোর বিরোধিতা করেন। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, এফএটিএফ রিভিউ চলবে ২০২৪ অবধি। কেন অক্টোবর অবধি সঞ্জয় কুমার মিশ্রকে রাখতে চাইছে কেন্দ্র? তাঁকে তো বিশেষ পরামর্শদাতা হিসেবেও রাখা যেতে পারে। দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর সঞ্জয় কুমার মিশ্রর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে রায় দেয় শীর্ষ আদালত।