• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মণিপুর সফরে যাচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রতিনিধিদল  সংসদে কালো পোশাকে প্রতিবাদ বিরোধীদের 

দিল্লি, ২৭ অগাস্ট  – মণিপুর হিংসা নিয়ে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে মণিপুর যাচ্ছে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রতিনিধিদল। সংসদে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনার দাবির পর এবার মণিপুর গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিন সংসদীয় কার্যক্রম চলাকালীনই  জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ২৯ এবং ৩০ জুলাই, শনি ও রবিবার হিংসা-দীর্ণ  মণিপুর পরিদর্শন করবে ইন্ডিয়া জোটের ২৬ সদস্যের

দিল্লি, ২৭ অগাস্ট  – মণিপুর হিংসা নিয়ে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে মণিপুর যাচ্ছে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রতিনিধিদল। সংসদে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনার দাবির পর এবার মণিপুর গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিন সংসদীয় কার্যক্রম চলাকালীনই  জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ২৯ এবং ৩০ জুলাই, শনি ও রবিবার হিংসা-দীর্ণ  মণিপুর পরিদর্শন করবে ইন্ডিয়া জোটের ২৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রাথমিকসুত্রে খবর, ইন্ডিয়া জোটের এই প্রতিনিধিদলে তৃণমূলের তরফে থাকবেন সুস্মিতা দেব।  

গত তিন মাস ধরে হিংসার আগুনে পুড়ছে উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ সে রাজ্যের সরকার। নারী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর হুঁশ ফিরেছে কেন্দ্রের। দেশের সর্বস্তরের মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে ক্ষোভ। ২৬ দলের এই জোটের কোন কোন নেতা সেই প্রতিনিধি দলে থাকবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মনিপুর পৌঁছে প্রতিনিধিদল যাবে ইম্ফল ভ্যালিতে। সেখান থেকে তাঁরা যাবেন চুরাচাঁদপুর। জানা গেছে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে এক বৈঠকে প্রাথমিকভাবে সদস্যদের নাম ও দিনক্ষণ স্থির হয়।  

এদিন, কংগ্রেসের লোকসভার চিফ হুইপ মানিকম ঠাকুর জানান, বিরোধী জোটের অন্তত ২০টি দলের নেতারা মণিপুরে যাবেন। সেখানকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখবেন। এর আগে ২৯ ও ৩০ জুন মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি । ত্রাণ শিবিরগুলিতে ঘুরে সেখানকার মানুষের সমস্যার কথা শোনেন। এরপর, গত ১৯ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ নেতার এক প্রতিনিধি দলও মণিপুর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তবে, ২৬ বিরোধী দলের নেতাদের আসন্ন এই সফর নিঃসন্দেহে সরকারকে অনেক বেশি চাপে ফেলে দিতে পারে।
মণিপুর হিংসার বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে ইতিমধ্যেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে ইন্ডিয়া জোট। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা সেই প্রস্তাব গ্রহণও করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এবং ভোটাভুটির তারিখ এবং সময় নির্ধারণ করবেন। এদিনও মণিপুর নিয়ে স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে কার্যত অচল থাকে সংসদের দুই কক্ষ।
এদিন, লোকসভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী সাংসদরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে , ‘প্রধানমন্ত্রী সদন মে আও’, ‘প্রধানমন্ত্রী চুপ্পি তোড়ো’, ‘প্রধানমন্ত্রী হোশ মে আও’ স্লোগান তোলে। অধ্যক্ষ ওম বিড়লা সভার শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন করেন। কিন্তু বিরোধীরা  থামেননি। প্রতিবাদের চিহ্ন হিসেবে এদিন সংসদের দুই কক্ষেই অধিকাংশ বিরোধী সাংসদ কালো পোশাক পরে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সাংসদ তরুণ গগৈ, অধীর চৌধুরির পাশাপাশি আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী-সহ অনেকেই কালো পোশাক পরে আসেন।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এর সমালোচনা করে বলেছেন, “গোটা বিশ্বে ভারতের অগ্রগতি ধরা পড়ছে। তা মেনে নিতে পারছে না এই কালো পোশাকধারীরা। পোশাকের মতো, তাদের ভবিষ্যতও অন্ধকারময়।” তীব্র উত্তেজনার মধ্যে দুই কক্ষের কার্যক্রমই দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতবি করে দেওয়া হয়।