• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মনিপুরে মহিলা নিগ্রহের কথা জানত জাতীয় মহিলা কমিশন ? বাড়ছে বিতর্ক  অভিযোগ অস্বীকার করল কমিশন   

দিল্লি, ২১ জুলাই – মণিপুরে দুই তরুণীকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানোর ভিডিও ও গণধর্ষণের অভিযোগ জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে আগেই পৌঁছেছিল বলে দাবি উঠল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত মহিলা কমিশন সেই অভিযোগ উপেক্ষা করে বলে দাবি  ।বুধবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মণিপুরের ওই ভিডিও ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। মহিলাদের উপর নির্যাতনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা গত ১২

দিল্লি, ২১ জুলাই – মণিপুরে দুই তরুণীকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানোর ভিডিও ও গণধর্ষণের অভিযোগ জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে আগেই পৌঁছেছিল বলে দাবি উঠল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত মহিলা কমিশন সেই অভিযোগ উপেক্ষা করে বলে দাবি  ।বুধবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মণিপুরের ওই ভিডিও ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। মহিলাদের উপর নির্যাতনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা গত ১২ জুন জাতীয় মহিলা কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় বলে শুক্রবার এক সংবাদ মাধ্যমে  প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। ওই অভিযোগপত্রের একটি প্রতিলিপিও প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। সেখানে মোট তিন জন মহিলার উপর যৌন নির্যাতন এবং তাঁদের মধ্যে দু’জনকে নগ্ন করে হাঁটানোর অভিযোগ রয়েছে। যদিও কমিশনার তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। 

জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা শুক্রবার স্বীকার করে নেন, মণিপুরে মহিলাদের উপর অত্যাচারের বহু অভিযোগ তাঁদের কাছে এসেছিল। ঘটনা নিন্দা করে মেইল করা হয় উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারী দুই মনিপুরী মহিলা এবং মনিপুর উপজাতি সমিতির তরফে। রেখা শুক্রবার বলেন, ‘‘গত তিন মাসে আমরা তিন বার মণিপুর সরকারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনও জবাব মেলেনি।’’ তবে মণিপুরের ঘটনা নিয়ে অনেক মিথ্যা অভিযোগও তাঁদের কাছে এসেছিল বলে জানান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তিনি বলেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগকারীরা মণিপুরের ছিলেন না, এমনকি ভারতীয়ও নন।’’

এই মেইল পাওয়ার পরে কমিশনার তরফে কেন কোন পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।  জাতীয় মহল কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা অবশ্য এই ধরণের অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলে, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে মনিপুরের লাগাতার হিংসার ঘটনা সংক্রান্ত মহিলাদের নানা সমস্যা নিয়ে অভিযোগ পেলেও নগ্ন করে হাঁটানোর কোনও অভিযোগ তাঁরা পাননি। চেয়ারপার্সন বলেন, মহিলাদের সমস্যা সংক্রান্ত তিনটি চিঠি তিনি পান গত ১৮ মে, ২৯ মে এবং ১৯ জুন।  ১৯ জুলাই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পড়ি তিনি এ বিষয়ে জানতে পারে বলে দাবি তাঁর।  

প্রশ্ন উঠছে কোনও চাপের মুখে পড়ে কী কমিশন বিষয়টি এড়িয়ে গেছে ?  কোনও কোনও মহল থেকে কমিশনের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্তের দাবিও উঠেছে। 

এদিকে, ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব নিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার পাশাপাশি টুইটার ইন্ডিয়ার প্রধানকে ভারতীয় আইন মেনে চলতে কমিশনের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনার তরফে একটি স্বতঃপ্রনোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে।