• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মোদির নিশানায় বিরোধী বৈঠক 

কলকাতা, ১৮ জুলাই –  বিরোধীদের বৈঠকের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলার ভোট হিংসাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তিনি। বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে কেন এই বিরোধী জোটের সদস্যরা চুপ তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মোদি। এদিন সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের নাম না করেও পঞ্চায়েত ভোট হিংসার নিয়ে শাসকদলের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, পঞ্চায়েত

কলকাতা, ১৮ জুলাই –  বিরোধীদের বৈঠকের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলার ভোট হিংসাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তিনি। বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে কেন এই বিরোধী জোটের সদস্যরা চুপ তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মোদি। এদিন সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের নাম না করেও পঞ্চায়েত ভোট হিংসার নিয়ে শাসকদলের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোট হিংসার পর কিভাবে একটা দল বিরোধী বৈঠকে যোগ দিতে পারছে ? কেন বাংলার ভোটে হিংসা ঘিরে প্রতিবাদ করছেন না বিরোধীরা ? মোদির বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে বিরোধী বৈঠকে ভয় পেয়ে এসব কথা বলছেন নরেন্দ্র মোদি।     
মঙ্গলবার পোর্টব্লেয়ারে বীর সাভারকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারি সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখে বিরোধী বৈঠকের কথা শোনা যায়। এদিন বিরোধী জোটকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধীদের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর আক্রমণ শানান। নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘ পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগাতার খুনোখুনি, হিংসার পরও বাম বা কংগ্রেস তার বিরোধিতা করেনি। নেতারা শুধু নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবেছেন, আর তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা ভোটে প্রাণ হারিয়েছেন। ‘ তিনি বলেন, ‘ওঁদের মন্ত্র হল, পরিবারের দ্বারা এবং পরিবারের জন্য। ওঁরা বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে কোনও কথা বলে না। দুর্নীতির মামলা থাকা সত্ত্বেও তারা ক্লিনচিট পায়।”
পূর্বতন সরকারের কাজের সঙ্গে তাঁর সরকারের কাজের পরিসংখ্যান তুলে বিরোধীদের কড়া ভাষায় তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী। নাম না করে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে পরিবারতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আজ বেঙ্গালুরুতে জড়ো হওয়া সকলে পরিবারতন্ত্রের কট্টর সমর্থক। এরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আসলে এদের সবকিছু পরিবারের জন্য, পরিবারের সঙ্গে, পরিবারের পক্ষে। এদের কাছে পরিবারই প্রথম, দেশ কিছু নয়। এদের জন্য দেশের গরিবের বাচ্চার বিকাশ নয়, নিজের বাচ্চা, ভাই-ভাইপোর বিকাশই লক্ষ্য।” তিনি বলেন, বর্তমান সরকারই দেশের যুবশক্তির কথা ভাবছে। তিনি আরও বলেন , ‘এদের একটাই এজেন্ডা- নিজের পরিবার বাঁচাও, পরিবারের জন্য দুর্নীতি কর।”
 বেঙ্গালুরুর বৈঠকটি আদতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি বলেও তোপ দাগেন তিনি ।এদিন বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের একই টেবিলে সামিল হওয়াকে দুর্নীতির দোকান খোলা বলেও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, “এখন কিছু লোক দেশকে নিয়ে দোকান খুলে বসেছে। এদের দোকানে দুটি জিনিসের গ্যারান্টি পাওয়া যায়- জাতপাতের বিষ বিক্রি করা আর দুর্নীতি করা।”। দেশের জনতা বলছে, এটা কট্টর দুর্নীতির সম্মেলন হচ্ছে।” যে সমস্ত নেতারা বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িত, জেলে গিয়েছেন অথবা আদালতের সাজাপ্রাপ্ত- তাঁরাই এই বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণ পাচ্ছেন বলেও তোপ দাগেন মোদি ।