পঞ্চায়েত ভোট মিটে যাওয়ার পরও রাজ্য জুড়ে অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। তার মাঝেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি আচমকা মন্তব্য করেন, ‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, পাঁচ মাসের মধ্যে এই রাজ্যের সরকার পড়ে যাবে।’ শান্তনু ঠাকুরের এই মন্তব্য নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, তখন তা আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বিধায়কেরা হঠাৎ মনে করল, আমরা সমর্থন করব না। আমরা অন্য কাউকে সমর্থন করব। বিধায়কদের তো মনে হতেই পারে।’ তিনি বলেন, ৫মাস, ৬ মাস যখন খুশি দরকার পড়ে যেতে পারে। মহারাষ্ট্রের এনসিপির ভাঙনের কথাও বলেন তিনি। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই ভিন্ন মত দিলীপ ঘোষের গলায়। বাংলায় ৩৫৫ অথবা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য বাকিদের থেকে ভিন্ন। তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় ৩৫৫ কিংবা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করার কথা ভাবছে কি না, আমার ঠিক জানা নেই। পশ্চিমবঙ্গে আগে কখনও তা হয়েছে কি না, জানি না।’ তিনি স্পষ্টই বলেন, মানুষের জনমতে তৈরি হওয়া কোনও সরকার ভেঙে দেওয়াকে তিনি গণতন্ত্রবিরোধী বলে মনে করেন। দিলীপের এই মন্তব্যের ফলে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও একবার প্রকাশ্যে এল।
রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ আবার বলেন, ‘‘এখন পশ্চিমবঙ্গে যা পরিস্থিতি, তাতে আমরা বলছি ৩৫৫ দরকার। কিন্তু যাঁরা মার খাচ্ছেন, আমি সেই রাজ্যবাসীদের প্রশ্ন করতে চাই, এই সরকারকে ভোট দিয়ে কে জিতিয়েছে?’’দিলীপের মন্তব্য প্রসঙ্গে সুকান্ত জানান, দিলীপ যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই.