• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পার্থর আংটিকাণ্ডে জেল সুপারকে তলব করল পুলিশ 

কলকাতা, ১৫ জুলাই – শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকেই জেলে বন্দি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলবন্দি থাকাকালীন পার্থর আংটি পড়ার ঘটনা নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে। হাতে আংটি কেন, আদালতে এই প্রশ্নের মুখেই পড়তে হয়েছিল প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে। জেল কোড ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এবার সেই আংটি কাণ্ডেই

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। (Photo:Kuntal Chakrabarty/IANS)

কলকাতা, ১৫ জুলাই – শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকেই জেলে বন্দি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলবন্দি থাকাকালীন পার্থর আংটি পড়ার ঘটনা নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে। হাতে আংটি কেন, আদালতে এই প্রশ্নের মুখেই পড়তে হয়েছিল প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে। জেল কোড ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এবার সেই আংটি কাণ্ডেই প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে নোটিস দিয়ে তলব করল হেস্টিংস থানার পুলিশ।

আগেই জানা যায় পার্থর আংটিকাণ্ডে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার দেবাশীষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ডিআইজি কারার তরফে জেলের আইন ভাঙা ও কর্তব্যের গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই জেল সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল পুলিশ।

পার্থর আংটি-কাণ্ডে কারা দফতরের থেকে রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। সেখানে জেলের মধ্যে পার্থর হাতে আংটি কেন রয়েছে সেই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কারা দফতরের তরফে জানানো হয়, তারা ইতিমধ্যেই এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করেছে। তবে তাদের দেওয়া রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিল না আদালত।

গ্রেফতারির পরও পার্থর হাতে কেন আংটি সেই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। জেল কোডের কথা উল্লেখ করে ইডির আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিল জেলে বন্দি কোন ব্যক্তি কোনো ধরণের অলংকার পরে থাকতে পারে না।  এই নিয়ে জেল সুপারকেও তলব করা হয়। 

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলার শুনানি চলছে ব্যাঙ্কশাল আদালতে। বিচারপর্বে পার্থর আংটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিচারক পার্থকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনি তো জেলবন্দি। আপনার হাতে এতগুলো আংটি কেন? আপনি জানেন না যে, জেলবন্দিদের হাতে আংটি রাখা যায় না?’ সেই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ জানিয়েছিলেন যে, তিনি নিজের স্বাস্থ্যের জন্য এই আংটি পরেন।

কিন্তু জেলের মধ্যে কোনওধরনের অলঙ্কার পরারই নিয়ম নেই। ইডি জানিয়েছিল, যখন তারা পার্থকে নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছিল, তখন আংটি খুলিয়েই আনা হয়েছিল। কিন্তু তারপর কীভাবে তিনি আংটি পেলেন তা জানেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তারপরই জেল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তোলেন বিচারক। এবার এই কাণ্ডে ফের একবার জেল সুপারকে তলব করল পুলিশ।