২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে হঠাৎ ইস্তফা দেন দীনেশ, যোগ দেন বিজেপিতে। তবে এখনো পর্যন্ত বিজেপিতে কোনও রাজনৈতিক পদ পাননি তিনি। অনেকে মনে করছেন, রাজ্যসভা এবং বাংলার রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল দীনেশকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দিতে পারে বিজেপি। সেই কারণেই নড্ডার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তবে বিজেপির তরফে অন্য নামও শোনা যাচ্ছে, যেমন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। পাশাপাশি উঠে আসছে দীনেশ ত্রিবেদীর নামও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারে যোগদান করলে দীনেশ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হন। মমতা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে দীনেশকে রেলমন্ত্রী করা হয়। কিন্তু ২০১২ সালে রেল বাজেটে ভাড়া বৃদ্ধি ঘটনায় তাঁকে দলনেত্রী মমতার নির্দেশে পদত্যাগ করতে হয়। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর থেকে তৃণমূলের প্রতীকে ফের সাংসদ হন দীনেশ। কিন্তু ২০১৯ সালে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহের কাছে পরাজিত হন। ২০২০ সালে ফের তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান মমতা, কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি সেই পদে ইস্তফা দেন। তৃণমূল ছাড়ার কথাও ঘোষণাও করেন। সেই বছরের বিধানসভা ভোটের আগে যোগ দেন বিজেপিতে।
রাজ্যসভা নির্বাচনে বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে ছ’টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে জয় নিশ্চিত তৃণমূলের। একটিতে জয় নিশ্চিত বিজেপি প্রার্থীর। তবে এ বারের রাজ্যসভা নির্বাচনে কোনও ভোট না-হওয়ারই সম্ভাবনা। ছয় জন প্রার্থী ত্রুটিমুক্ত মনোনয়ন জমা দিলেই জয় নিশ্চিত।বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যসভা ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে হবে । ১৪ তারিখ ‘স্ক্রুটিনি’, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ জুলাই। ২৪ তারিখ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট প্রক্রিয়া চলবে । বিকেল ৫টা থেকে গণনা , তারপর ফলপ্রকাশ ।