• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

মনোনয়নের নথি বিকৃতি মামলায় সিবিআই তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট 

কলকাতা, ২৩ জুন – পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্রের তথ্য বিকৃতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বৃহস্পতিবার সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়  রাজ্য। শুক্রবার এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার দেওয়া সিবিআই তদন্তের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অপূর্ব রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার পর্যন্ত

কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র

কলকাতা, ২৩ জুন – পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্রের তথ্য বিকৃতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বৃহস্পতিবার সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়  রাজ্য। শুক্রবার এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার দেওয়া সিবিআই তদন্তের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অপূর্ব রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। তার আগে এই মামলায় সিবিআই  কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে জানাল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।  আগামী সোমবার মামলায় রায়দান হতে পারে।  
প্রসঙ্গত, উলুবেড়িয়ার ১ নম্বর ব্লকের দুই বাম প্রার্থী কাশ্মীরা বিবি এবং অনুজা বিবি দাবি করেছিলেন, তাঁদের মনোময়নপত্র বিকৃত করা হয়েছে। তাঁরা ওবিসি হাওয়া সত্ত্বেও তা চেকলিস্টে উল্লেখিত হয়নি। ফলে স্ক্রটিনিতে তাঁদের নাম বাদ গেছে। এই মর্মে অভিযোগ তুলে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলা ওঠে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, তাঁরা বিডিওর কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেও তিনি তা গ্রাহ্য করেননি। এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল, যেহেতু একজন রাজ্য সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠছে, তাই রাজ্য পুলিশ কিংবা রাজ্যের গোয়েন্দা দিয়ে এই তদন্ত হবে না। সেক্ষেত্রে তিনি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তপ্ত বাংলার রাজনীতি। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ হামলা, সংঘর্ষ, প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে হবে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই কেন্দ্রের থেকে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এখনও পর্যন্ত কত কোম্পানি বাহিনী পাওয়া যাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।