তেগুচিগালপা, ২১ জুন– প্ল্যান করে মহিলা জেলের ভিতরেই ভয়ংকর দাঙ্গা বাধিয়ে প্রায় ৪১ জন মহিলাকে খুন করা হল। এদের মধ্যে ২১ মহিলাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয় বলেই জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। মহিলা কারাগারের ভিতরে কয়েদিদের দু’পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। আহত বহু। তাদের জেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। মঙ্গলবার একে অপরের উপরে নৃশংস হামলা চালায় বন্দিরা। জীবন্ত পুড়িয়ে, গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যালীলা চলে। ভয়ংকর দাঙ্গার দৃশ্য রেকর্ড হয়েছে জেলের সিসিটিভিতে। যা দেখার পর প্রশাসনের দাবি, বাইরে থেকে বেশ কয়েকটি কুখ্যাত গ্যাং ইন্ধন এবং অস্ত্র যুগিয়েছে। পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শরু হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তেগুসিগালপা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সেন্ট্রো ফেমেনিনো ডি অ্যাডাপটাসিয়ন সোশ্যাল কারগারে মঙ্গলবার ভোরে দাঙ্গা বাধে। মহিলা কারাগারের আবাসিক ৯০০ জন। দাঙ্গায় মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের মহিলার। এদের মধ্যে ২৫ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদের ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মারা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভয়াবহ সংঘর্ষ আহত বহু। তাদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে, জানিয়েছে হন্ডুরাস প্রশাসন।
কয়েদিদের পরিবারকে সহায়তাকারী একটি সংগঠনের সভাপতি ডেলমা অর্ডোনেজের দাবি, মঙ্গলবার ভোরে ‘গ্যাং ব্যারিও ১৮’ ও ‘মারা সালভাত্রুচা’ গোষ্ঠীর মধ্যে দাঙ্গা বাধে। এদিকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ামাত্র জেলের বাইরে বন্দিদের আত্মীয়রা ভিড় জমান। স্বজনরা আদৌ জীবীত আছেন কিনা জানতে চান তাঁরা। দাঙ্গা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো। তিনি বলেন, কারগারের নিরাপত্তারক্ষীদের সমর্থনে মারা গোষ্ঠী পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। ঘটনার তদন্ত হবে। দোষীদের কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। উল্লেখ্য, লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে জেলের মধ্যে দাঙ্গা নতুন ঘটনা না। এর আগে ২০১২ সালে হন্ডুরাসেই ভয়াবহ দাঙ্গায় মৃত্যু হয়েছিল ৩৬১ জনের।