কলকাতা , ২১ জুন – একাধারে সাহিত্যিক ও সাংবাদিক গৌরকিশোর ঘোষের জন্ম শতবর্ষের যাত্রা শেষ হল। শতবর্ষ পেরিয়েও তাঁর জীবন দর্শন, তাঁর দূরদর্শিতা আজও কতটা প্রাসঙ্গিক তার সাক্ষী থাকল এই প্রজন্মের তাঁর অনুরাগী ও পাঠকেরা। বাঙালির আধুনিক চিন্তা ভাবনার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন গৌরকিশোর। ২০ জুন বিড়লা সভাঘরে গৌরকিশোর ঘোষের জন্ম শতবর্ষ উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক অনিতা অগ্নিহোত্রী, শিলং টাইমস-এর সম্পাদক প্যাট্রিসিয়া মুখিম , ছিলেন সাংবাদিক সেমন্তী ঘোষ। আয়োজক ছিল ‘গৌরকিশোর ঘোষ জন্ম শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি’ . বিশিষ্ট বক্তাদের আলোচনায় শ্রোতারা অনুভব করলেন আজও গৌরকিশোরের প্রাসঙ্গিকতা ।
এদিনের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘দেশপ্রেম দেশদ্রোহ’ . দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে প্রতিটি নাগরিককে সচেতন হতে হবে, মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে গৌকিশোরের ভাবনায়, লেখনীতে সেই বার্তারই প্রকাশ। গৌরকিশোরের কাছে মানুষই সত্য। মানুষের মধ্যে ভেদাভেদের দেওয়াল ভাঙতে চেয়েছিলেন তিনি । ভারতের ইতিহাসের এক অস্থির সময়ের সাক্ষী ছিলেন তিনি। ঝুঁকি নিয়েও সত্যি বলতে দ্বিধা করেননি। তাঁর আপোষহীন চিন্তা ভাববার জন্য জেলও খেটেছেন। সে কথাই বারবার উঠে এল বক্তাদের আলোচনায়। কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে দেশদ্রোহিতা আইন প্রয়োগের অপব্যবহারের প্রসঙ্গও। সেমন্তী তাঁর ভাষণে গৌরকিশোর ঘোষের দুটি প্রবন্ধের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দেশকে ভালোবাসলে , এখন চুপ করে থাকার সময় পেরিয়ে গেছে। স্বৈরতন্ত্রকে রুখতে ব্যক্তিসত্ত্বা কে এগিয়ে আসতে হবে। এদিন অনুষ্ঠানে ‘গৌড়ানন্দ কবি ভনে ‘ গ্রন্থটির পরিবর্ধিত দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করে দে’জ পাবলিশিং হাউস।