• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

জেনে নিন নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়ার গুণাগুণ।

কলকাতা:- রান্নাঘরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী হল হলুদ। এটি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, পাশাপাশি এর অনেক গুণও আছে। শরীরকে সুস্থ রাখতে কাঁচা হলুদের কোনও বিকল্প হয় না। নিয়মিত সকালে খালি পেটে খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। হলুদের মধ্যে যে কারকিউমিন থাকে তা শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে সহায়তা করে। তাহলে জেনে

কলকাতা:- রান্নাঘরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী হল হলুদ। এটি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, পাশাপাশি এর অনেক গুণও আছে। শরীরকে সুস্থ রাখতে কাঁচা হলুদের কোনও বিকল্প হয় না। নিয়মিত সকালে খালি পেটে খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। হলুদের মধ্যে যে কারকিউমিন থাকে তা শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে সহায়তা করে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে হলুদ কতটা কার্যকরী।
•ত্বকের বয়স কমায়-
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য রক্ষা করতে ও ত্বকের বয়স কমাতে দারুণ কাজ করে কাঁচা হলুদ। হলুদে থাকা কারকিউমিনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ ত্বককে বয়সের ছাপ থেকে রক্ষা করে। ত্বকের বিভিন্ন দাগ, বলিরেখা ও ট্যান থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য কাঁচা হলুদের পেস্ট মুখে লাগাতে পারে।
•মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়-
কাঁচা হলুদ মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে অ্যালঝাইমার্স, ডিমেনশিয়া-সহ মস্তিষ্কের বেশ কিছু সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্কে যে সমস্যাগুলি দেখা দেয়, তা দূরে সরিয়ে রেখে ব্রেনকে আরও সজাগ করে তোলে কাঁচা হলুদ।
•ক্যান্সার দূর করতে-
কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন ক্যান্সার দূর করতে সহায়তা করে। কারকিউমিন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে। ফলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে যায়। ক্যানসারের নিরোধক হিসেবে কাজ করে কাঁচা হলুদ। রোজ সকালে তাই খালি পেটে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেলে ক্যানসারের মতো  রোগের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
•ওজন কমাতে সাহায্য করে-
নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেলে তা শরীরে মেদ জমতে বাঁধা দেয় ও মেটাবলিজমের হার বাড়ায়। তাই যারা ওজন বেড়ে যাওয়ার জন্য যারা চিন্তা করছেন, তারা নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেতে পারেন।
•সর্দি- কাশিতে থেকে রক্ষা করে-
কাঁচা হলুদ আমাদের শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে সহায়তা করে। হলুদে থাকা কারকিউমিন ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি -কাশি কমাতে সাহায্য করে।
•ডায়াবেটিসের জন্য ভালো-
হলুদে থাকা কারকিউমিন অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এতে মজুত ইনসুলিন হরমোনের ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ও অগ্ন্যাশয়কে সুস্থ রাখে।
•হাঁপানিতে কমাতে উপকারী-
যাদের হাঁপানি আছে, তারা নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেলে সহজে উপকার পাবেন। হলুদে থাকা কারকিউমিন শ্বাসনালীর পথে থাকা বাধাকে দূর করে ও শ্বাস নেবার ক্ষমতা বাড়াতে পারে।