ত্বকের যে কোনও অসুখই মারাত্মক পর্যায়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ত্বকের জটিল রোগ পুরোপুরি সারিয়ে ফেলা যায় এমন ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনও সেভাবে তৈরি হয়নি। এই নিয়ে বছরের পর বছর ধরে গবেষণা চলছে। ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ত্বকের অসুখ সারানোর জন্য অভিনব গবেষণা করছে।
কিন্তু সেই অসুখ সারানোর ওষুধই তৈরী করে তাক লাগলেন এক ভারতীয় বিজ্ঞানী। মাঙ্কিপক্সের সময় ত্বকের যে মারাত্মক সংক্রমণ হচ্ছিল তা সারানোর জন্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ তৈরি করেছিলেন ক্য়ালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির এক ভারতীয় বিজ্ঞানী। অ্যাঞ্জেল দেশাই নামে সেই গবেষকের তৈরি ওষুধ টেকোভিরিম্যাটের একটি ডোজেই নাকি ত্বকের সংক্রমণ, দাগছোপ, র্যাশ কমে যাচ্ছিল।
শুয়োরের পিত্তথলির কোষ থেকে তৈরি যন্ত্র নাকি ত্বকের জ্বালাপোড়া ক্ষত, সংক্রমণ নির্মূল করতে পারবে, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের দাবি এমনটাই। টিস্যু কালচার করে বিজ্ঞানীরা এমন এক যন্ত্র তৈরি করছেন যা ত্বকের অসুখ সারাতে পারবে। কোষ নিয়ে এই ধরনের গবেষণার নাম কোলেডার্ম । তিরুঅনন্তপুরমের শ্রী চিত্রা তিরুনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিক্যাল সায়েন্সের বিজ্ঞানীরা শুয়োরের পিত্তথলির কোষ নিয়ে এই ধরনের গবেষণা করছেন।
শ্রী চিত্রা তিরুনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিক্যাল সায়েন্সের অন্যতম শীর্ষ বিজ্ঞানী টিভি অনিলকুমার জানিয়েছেন, পশুদের শরীরের কোষ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে মেডিক্যাল ডিভাইস তৈরির চেষ্টা বহু বছর ধরেই চলছে। গত ১৫ বছর ধরে শুয়োরের পিত্তথলির কোষ নিয়ে এই গবেষণা চলছে। বিজ্ঞানীর দাবি, গবেষণায় সাফল্য এসেছে। নতুন যন্ত্র ত্বকের রোগের চিকিৎসা করতে পারছে। যে কোনও ধরনের সংক্রমণ, পুড়ে যাওয়া ক্ষত সারাতে পারবে এই ডিভাইস।
শুয়োরের হার্ট, লিভার মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করার প্রক্রিয়া অনেকদিন থেকে চলছে। তিরুনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিক্যাল সায়েন্সের বায়োমেডিক্যাল বিভাগের প্রধান ডা. হরিকৃষ্ণ বর্মা বলছেন, শুয়োরের পিত্তথলির কোষ ল্যাবরেটরিতে বিশেষ উপায়ে পরিশোধন করে তা থেকে এই ডিভাইস তৈরি হয়েছে। পিত্তথলির কোষের অংশ নিয়ে তা এমনভাবে ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে যা মৃত কোষের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে পারে। এমনকী ডায়াবেটিসের কারণে ত্বকে যেসব রোগ হয় তাও নাকি সারাতে পারবে এই ডিভাইস। কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা এই যন্ত্র ব্যবহারে সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে।