ওহিও, ১৭ জুন – তিন নাবালক সন্তানকে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মারলেন শিশুদের বাবা। ৩, ৪ এবং ৭ বছর বয়সের তিন শিশু পুত্রকে নির্মমভাবে হত্যা কর ঘটনায় স্তম্ভিত প্রতিবেশীরা। কার্তুজ ভর্তি রাইফেল দিয়ে একে একে তিন জনকেই গুলি করেন বাবা। গুলির শব্দ, চিৎকার, আর কান্নার পরই সব চুপ। তিন শিশুর নিথর দেহের্ রক্তে রাঙা হয়ে উঠছে মাটি, তখন খুনি বাবার মেয়ে আতঙ্কে চিৎকার করতে করতে রাস্তায় ছুটছে আর বলছে, ‘আমার বাবা সবাইকে মেরে ফেলেছে!’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিওর ঘটনা। ৩২ বছর বয়সের অভিযুক্তর নাম চ্যাড ডোরম্যান। জানা গেছে, এই খুনের পরিকল্পনা বহু আগে থেকেই করে রেখেছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার তিন ছেলেকে এক এক করে লাইনে দাঁড় করান চ্যাড। তারপর গুলি করে তাদের খুন করেন। তাঁকে আটকাতে গিয়ে হাতে গুলি লাগে চ্যাডের স্ত্রীর। দম্পতির মেয়ে চিৎকার করতে করতে উন্মত্তের মতো রাস্তায় ছুটতে শুরু করে।
গুলির আওয়াজ এবং তারপর চিৎকার শুনে প্রতিবেশী এক মহিলা ৯১১ নম্বরে ডায়াল করে পুলিশকে খবর দেন। এক গাড়ির চালকও চ্যাডের মেয়ের চিৎকার শুনে থানায় ফোন করেন। খবর পেয়ে দ্রুত চিকিৎসক দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেখা যায়, সন্তানদের খুন করে দিব্যি নিশ্চিন্তে বাড়ির বাইরের বাগানে বসে অভিযুক্ত। পুলিশের কাছে খুনের কথা নির্দ্বিধায় স্বীকারও করেন তিনি ।
জানা গেছে, বিগত কয়েক মাস ধরেই এই খুনের পরিকল্পনা ছিল চ্যাডের। তাঁকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, চ্যাডের এক ছেলে পালিয়ে গিয়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছিল। তাকে ধরে এনে আবার লাইনে দাঁড় করিয়ে নির্মমভাবে গুলি চালান চ্যাড। অভিযুক্তের স্ত্রী এবং মেয়েকে বাড়ির বাইরে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। দুজনকেই চিকিৎসার জন্য সিনসিনাটির এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চ্যাডের তিন সন্তানকে বাঁচানোর বহু চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা । কিন্তু তাঁদের সব চেষ্টা বিফলে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তিন শিশুরই। ঘটনার ভয়াবহতায় হতবাক অভিযুক্তের প্রতিবেশীরা। তদন্তকারীদের অনুমান, চ্যাড মানসিকভাবে অসুস্থ হতে পারেন । তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চ্যাডের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।