কলকাতা:- দুই পাশে দুই চা-বাগান আর মাঝে ছোট্ট গ্রাম। তারই নাম তাবাকোশি। রংভন নদীর তীরে রয়েছে এই ছোট্টগ্রামটি। মিরিকের খুব কাছেই এই গ্রামটি। একদিকে সাংমা টি-এসটেট আরেক দিকে ধার্বো টিএসস্টেট। দার্জিলিংয়ের পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম তাবাকোশি। অপূর্ব সুন্দর এই গ্রাম। একদিকে পাহাড়ি নদী রনভন আরেকদিকে চা বাগান। গ্রামের মধ্য দিয়েই বয়ে গিয়েছে এই নদী। ছোট ছোট কটেজের মত বাড়ি রয়েছে এই গ্রামজুড়ে। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ির সঙ্গে বাগান রয়েছে। এখানে থাকার জায়গা বলতে হোমস্টে। গরমের ছুটিতে কেউ নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইলে এই তাবাকোশি একেবারে উপযুক্ত। এখানে অনেক ধরনের হোমস্টে রয়েছে। চাইলে নিজে রান্না করে খেতে পারেন। আবার চাইলে স্থানীয় খাবারও খাওয়ার সুযোগ আছে। এখানে পাওয়া যায় রডোডেনড্রনের ওয়াই। যার স্বাদ নিতে মন্দ লাগবে না কারোর। এখানে কাঁসার বাসনে খাবার পরিবেশন করা হয়। আবার টেন্টেও থাকার ব্যবস্থা আছে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চায়ের কাপে চুমুক দিন। তারপরে ব্রেকফাস্ট সেরে বেড়িয়ে পড়ুন গ্রাম দেখতে। পায়ে পায়ে হেঁটে ঘণ্টা ২য়েকের মধ্যেই ঘুরে নেওয়া যায় গ্রামটি। কাছেই একটা পার্কও রয়েছে। সেখানেও বেশ কিছুটা সময় কাটানো যায়। আবার নদীর পাড়েও বেশ কিছুটা সময় কাটাতে পারেন।
শিলিগুড়ি থেকে তাবাকোশি যেতে সময় লাগে ২ ঘণ্টা। গাড়ি ভাড়াও সাধ্যের মধ্যেই। এখান থেকে মিরিক যাওয়ার রাস্তাও খুব সোজা। পথে পড়বে টুমলিং ভিউ পয়েন্ট। বেড়িয়ে আসতে পারেন দোপালধারা টিএসটেট। মিরিক বেড়ানো হয়ে গেলে চলে যান দার্জিলিং।