• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সিপিএম নেতার ৫০ লাখি গাড়ি দেখেই তাড়াল পার্টি

তিরুবন্তপুরম, ১৬ জুন– কিনেছেন ৫০ লাখি গাড়ি। আর তাতেই তাকে দল থেকে তাড়াল কেরল সিপিএম। কেরল সিপিএম নেতা পিকে অনিল কুমারের গ্যারেজে রয়েছে মিনি কুপার ব্রান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি। আর গাড়ির দায়েই পদ গেল অনিলের।  অনিল ছিলেন কেরলের পেট্রলিয়াম এবং গ্যাস ওয়ার্কার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘদিন রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এসেছেন অনিল। বাম সংগঠনের অন্য

তিরুবন্তপুরম, ১৬ জুন– কিনেছেন ৫০ লাখি গাড়ি। আর তাতেই তাকে দল থেকে তাড়াল কেরল সিপিএম। কেরল সিপিএম নেতা পিকে অনিল কুমারের গ্যারেজে রয়েছে মিনি কুপার ব্রান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি। আর গাড়ির দায়েই পদ গেল অনিলের। 

অনিল ছিলেন কেরলের পেট্রলিয়াম এবং গ্যাস ওয়ার্কার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘদিন রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এসেছেন অনিল। বাম সংগঠনের অন্য মুখ তিনি। কিন্তু সেই অনিলই আজ বিতাড়িত। কারণ অনিলের গ্যারেজে যে লাক্সারি গাড়িটা শোভা পাচ্ছে, তার দাম ৫০ লাখ টাকা!

অনিল ছিলেন সিপিএম দলের সর্বক্ষণের কর্মী। ‘সর্বহারা পার্টি’র নেতার বিরুদ্ধে এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে অনিলের এই গাড়ি। নেটিজেনদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন এই বাম যুবনেতা। 

সোশ্যাল মিডিয়া ও রাজনৈতিক আঙিনায় যখন এই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তখন অনিল সাফাই দেন, এই গাড়ি তাঁর নয়। তাঁর স্ত্রী ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে চাকরি করেন। তিনিই কিনেছেন সেই গাড়ি!

কিন্তু অনিলের এই সাফাই কাজে এল না। গাড়ি বিতর্কের আগুন যাতে দাবানলের মতো ছড়িয়ে না পড়ে তাই আগেভাগেই দল থেকে অনিলকে তাড়িয়ে দেওয়া হল। এরনাকুলাম জেলা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আর অনিলকে দলে রাখা যাবে না। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক এমভি গোবিন্দ মনে করেন, অনিলের সদস্যপদ থাকাটা দলের নীতি বিরুদ্ধ! মিনি কুপার কেনাটা অনিলের একটি ‘ভুল প্রবণতা’ এবং সেটা কখনই ‘গ্রহণযোগ্য নয়’।

সিপিএমের এক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যর মতে, এটা যদি কোডিয়ারি বালাকৃষ্ণন রাজ্য সম্পাদক থাকাকালীন হতো তাহলে হয়তো এই ঘটনা ঘটত না। কোডিয়ারি প্রয়াত হয়েছেন ঠিক কথা, কিন্তু তাঁর বিলাশবহুল জীবনযাপনে কোনও আপত্তি ছিল না। তিনি মনে করতেন, কমিউনিস্ট পার্টির লোককে সবসময় গরিব হয়ে থাকতে হবে তার কোনও মানে নেই। কিন্তু এখন যিনি কেরল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গোবিন্দ, তিনি একেবারে ধ্রুপদী ঘরনার কমিউনিস্ট নেতা। তিনি মনে করেন ইএমএস নাম্বুদিরিপদের লাইনই পার্টির লাইন। তাই তাঁর সময় যখন এই ঘটনা ঘটেছে, তখন আর এরনাকুলাম জেলা কমিটি রেয়াত করেননি অনিলকে। মিটিং করে তাড়িয়ে দেওয়া হল তাঁকে।

কেরলের এই ঘটনা কিছুটা আলোড়িত করেছে বঙ্গ রাজনীতিতেও। অনিলের সঙ্গে তুলনায় উঠে আসছেন বাম নেতা শতরূপ ঘোষ! মার্চ মাসের শেষের দিকে এই গাড়ি বিতর্কের জন্ম নিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতেও। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, শতরূপ ও তাঁর ২২ লাখের মারুতি সুজুকি গ্র্যান্ড ভিটারার ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সিপিএম দলের হোলটাইমার হয়ে কীভাবে ২২ লাখের গাড়ি কিনলেন? শুধু তাই নয়, কুণাল আরও প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদি ওই গাড়ি শতরূপের বাবা দেন, তাহলে পেমেন্ট ওর নামে কেন?