• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নিটে ৬০১ ব়্যাঙ্ক-এর চমকে ৬০০ টাকার দিনমজুর উমরের 

জম্মু, ১৬ জুন– পরিশ্রমের সত্যিই কোনো বিকল্প হয় না। তাই প্রমান করে দেখালেন কাশ্মীরের উমর। পেট ভরতে যার দিন মজুরের পরিশ্রম করতে হয় সেই উমর সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৬০১ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনমজুর উমর আহমেদ গানাই।  পড়াশোনা তো দূর, পেট চালানোই দায় উমরের। কিন্তু দুচোখে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। তাই পেটের দায়ে এবং ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন

জম্মু, ১৬ জুন– পরিশ্রমের সত্যিই কোনো বিকল্প হয় না। তাই প্রমান করে দেখালেন কাশ্মীরের উমর। পেট ভরতে যার দিন মজুরের পরিশ্রম করতে হয় সেই উমর সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৬০১ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনমজুর উমর আহমেদ গানাই। 

পড়াশোনা তো দূর, পেট চালানোই দায় উমরের। কিন্তু দুচোখে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। তাই পেটের দায়ে এবং ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের তাড়নায় দিনমজুরের কাজ করতেন কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা ১৯ বছরের তরুণ উমর।  বাধ্য হয়ে দু-বছর ধরে রঙের মিস্ত্রি হিসাবে দিনমজুরের কাজে যোগ দেন উমর। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেটে রাত জেগে পড়াশোনা করতেন। অবশেষে এল সুখবর। নিট পরীক্ষায় তুখোড় ফল করেছেন উমর।

বৃহস্পতিবার সকালে যখন নিট পরীক্ষার ফল প্রকাশের খবর পৌঁছয় উমরের গ্রামে, তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পাশের গ্রামে দিনমজুরের কাজ করছিলেন তিনি। দিনপ্রতি মজুরি ৬০০ টাকা, বাদ দিলে চলবে কী করে। তাই নিজের স্বপ্নের পথে প্রথম পা রাখার সময়টাতেও তিনি সেই কাজেই ব্যস্ত ছিলেন। কম্পিউটারের সামনে বসে ফলাফল সার্চ করাও যে ‘বিলাসিতা’!

ফলে পরীক্ষায় কী রেজাল্ট হয়েছে, তা প্রথমে উমর নিজে জানতেও পারেননি। তবে কাজ সেরে গ্রামে আসতেই ফুল-মালা-মিষ্টি দিয়ে উমরকে অভ্যর্থনা জানান গ্রামবাসীরা। শুধু নিজের স্বপ্ন পূরণ নয়, গোটা গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করেছেন উমর।

উমর আহমেদ বলেন, ‘খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি আমি। দু’বছর ধরে উদয়াস্ত পরিশ্রম করেছি। সকাল থেকে দিনমজুরের কাজ করেছি এবং সন্ধ্যার পর পড়াশোনা করেছি। কঠোর পরিশ্রম আজ সফল হল। পরিশ্রম কখনও ব্যর্থ হয় না।’