• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সন্তান পেতে ৪ বছরের শিশুকে ‘উৎসর্গ’ করল সৎ-মা

লখনউ, ১৫ জুন– দীর্ঘদিন চেষ্টা করা সত্ত্বেও কিছুতেই সন্তানধারণ করতে পারছিল না মহিলা। তাই তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয়েছিল। সেই তান্ত্রিকই পরামর্শ দিয়েছিল, শিশুবলিই সমাধান। অন্য একটি শিশুকে বলি দিলে তবেই তার কোল আলো করে সন্তান আসবে| তার কথা মতোই ৪ বছর বয়সি সৎ ছেলেকে বলি দিল মহিলা। নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে গত রবিবার। পুলিশ জানিয়েছে,

লখনউ, ১৫ জুন– দীর্ঘদিন চেষ্টা করা সত্ত্বেও কিছুতেই সন্তানধারণ করতে পারছিল না মহিলা। তাই তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয়েছিল। সেই তান্ত্রিকই পরামর্শ দিয়েছিল, শিশুবলিই সমাধান। অন্য একটি শিশুকে বলি দিলে তবেই তার কোল আলো করে সন্তান আসবে| তার কথা মতোই ৪ বছর বয়সি সৎ ছেলেকে বলি দিল মহিলা।

নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে গত রবিবার। পুলিশ জানিয়েছে, সত্যেন্দ্র নামে ৪ বছরের শিশুটি রবিবার বিকেলে খেলতে বেরিয়েছিল। কিন্তু সেদিন রাতে সে আর বাড়ি ফেরেনি। সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ সত্যেন্দ্রর বাবা জিতেন্দ্র প্রজাপতি থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেন। এরও ৩ ঘণ্টা পর গ্রামের একটি ডোবা থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

এরপরেই সন্দেহ হওয়ায় জিতেন্দ্র তাঁর স্ত্রী রেণু, শ্বশুর মংড়ু প্রজাপতি, শাশুড়ি প্রেমাদেবী এবং দয়ারাম যাদব নামে এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। জেরার মুখে মংড়ু এবং প্রেমাদেবী পুলিশকে জানান, বছর দেড়েক আগে জিতেন্দ্রর সঙ্গে তাঁরা তাঁদের মেয়ে রেণুর বিয়ে দেন। জিতেন্দ্র আগে একবার বিয়ে করেছিল। সত্যেন্দ্র জিতেন্দ্র এবং সেই স্ত্রীরই সন্তান। কিন্তু কয়েক বছর আগে জিতেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী সংসার ছেড়ে পালিয়ে যান। তারপর রেণুর সঙ্গে জিতেন্দ্রর বিয়ে দেন তাঁরা।

কিন্তু বিয়ের পর থেকেই নাকি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছিল রেণু। এমনকী, একবার গর্ভপাতও হয়ে যায় তার। এরপরেই মেয়েকে নিয়ে তান্ত্রিক দয়ারামের শরণাপন্ন হন তাঁরা। দয়ারাম রেণুকে বলে, নিজের সন্তান চাইলে আগে স্বামীর প্রথম সন্তানকে বলি দিতে হবে। এরপরেই সত্যেন্দ্রকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে দেহটি পুকুরে ফেলে দেয় রেণু। ঘটনায় ৪ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ