স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে রাজ্যের সব সরকারি ফার্মেসিকে বিজ্ঞপ্তি আকারে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলিকেও বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মেডিক্যাল কলেজের আউটডোর কিংবা জেলা-ব্লক অথবা সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোজ গড়ে অন্তত কয়েক লাখ রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। ডাক্তারবাবু তাঁদের রোগ পরীক্ষা করে কয়েক রকমের ওষুধ দেন। কিন্তু কোন ওষুধ কখন খেতে হবে? সকালে খালি পেটে না রাতে খাওয়ার আগে বা পরে তা প্রেসক্রিপশনে লিখে দিলেও বেশিরভাগ রোগী মনে রাখতে পারেন না। ফলে সময়ের পরেও সুস্থ হতে দেরি হয়। একই রোগের জন্য আবার আসতে হয় হাসপাতালে। এমন সমস্যার নিরসনে নয়া দাওয়াই স্বাস্থ্য দপ্তরের। সরকারি ফার্মেসি থেকে নিখরচায় ওষুধ নেওয়ার সময় প্রতিটি ওষুধ আলাদা খামে দেওয়া হবে। খামের গায়ে স্থানীয় ভাষায় লেখা থাকবে ওষুধ খাওয়ার নিয়ম।
স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিবের নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে জেলা ও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এমনকী সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্রও এই বিজ্ঞপ্তির আওতায় আনা হয়েছে। অর্থাৎ সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টেলি মেডিসিন প্রকল্পের আওতায় বিশেষজ্ঞকে দেখানোর পর যে প্রেসক্রিপশন পাবেন সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মী ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে নির্দিষ্ট খামে ভরে দেবেন।