• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভারত-আমেরিকার শাস্তির ভয়েই তাইওয়ানে হামলা থেকে বিরত বেজিংয়! দাবি চিনা রিপোর্টেই!

বেইজিং, ৭ জুন– প্রতিবেশী দেশগুলিকে যেকোন উপায়ে কুক্ষিগত করে চিনের পুরানো অভ্যেস। কখনো ভারত সীমান্ত তো কখনো তাইওয়ান সীমান্তে আগ্রাসন বাড়িয়েই চলেছে লাল ফৌজ। যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে শাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকছে চিনা রণতরী। আর এরপরই প্রশ্ন, তাইওয়ান কি ইউক্রেন হয়ে উঠবে? কিন্তু সে আশঙ্কা নাকচ করছে স্বয়ং চিনেরই এক কৌশলপত্র। সেই কৌশলপত্রের ইঙ্গিত, চিনের

বেইজিং, ৭ জুন– প্রতিবেশী দেশগুলিকে যেকোন উপায়ে কুক্ষিগত করে চিনের পুরানো অভ্যেস। কখনো ভারত সীমান্ত তো কখনো তাইওয়ান সীমান্তে আগ্রাসন বাড়িয়েই চলেছে লাল ফৌজ। যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে শাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকছে চিনা রণতরী। আর এরপরই প্রশ্ন, তাইওয়ান কি ইউক্রেন হয়ে উঠবে? কিন্তু সে আশঙ্কা নাকচ করছে স্বয়ং চিনেরই এক কৌশলপত্র। সেই কৌশলপত্রের ইঙ্গিত, চিনের সামরিক শক্তি যতই বিপুল হোক না কেন শেষপর্যন্ত ভারত ও আমেরিকার মতো দেশগুলির দিকে তাকিয়ে বেজিং সম্ভবত তাইওয়ানে হামলা করতে পারবে না।

ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে চিনকে নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। যদিও বেজিং এখনও তাইওয়ানে আক্রমণ করে উঠতে পারেনি তার পিছনে রয়েছে দ্বিধা। আর সেই দ্বিধার মূলে রয়েছে ভারত ও আমেরিকা! 

আসলে এই মুহূর্তে ও আগামিদিনেও চিনের জলপথে বাণিজ্যের প্রধান পথ দক্ষিণ চিন সাগর। যা ভারত মহাসাগর ও লোহিত সাগর ও সরু রেখার মতো অবস্থিত মালাক্কা প্রণালী দিয়ে পারস্য উপসাগর, সুয়েজ খাল ও ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে যুক্ত। ৮০ শতাংশ বাণিজ্য এই জলপথেই করে চিন। আর এখানেই বেজিংয়ের ভয়, যদি তারা তাইওয়ানে হামলা করে দেয় তাহলে আমেরিকা ভারত অন্যান্য ইন্দো-প্যাসিফিক সঙ্গীদের নিয়ে মালাক্কায় চিনের বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ফলে ধাক্কা খাবে চিনা বাণিজ্য। শক্তি সম্পদ ও কাঁচামাল সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। চিনেরই এক কৌশলপত্র থেকেই এমনটা জানা যাচ্ছে।

এই ভয় থেকেই দ্বিধাগ্রস্ত বেজিং। তাই ফাইটার বোম্বার জেট, এইচ-৬ বোমারু বিমান, সুখোই-৩০, ইলেক্ট্রোনিক ওয়ারফেয়ার, সাবমেরিন ধ্বংসী ও ট্যাঙ্কার বিমান নিয়ে বারবার তাইওয়ানের ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়েও এখনও হামলার সাহস দেখাতে পারেননি জিনপিং। আগামিদিনেও পারবেন, সেই সম্ভাবনা ক্ষীণই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।