ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে চিনকে নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। যদিও বেজিং এখনও তাইওয়ানে আক্রমণ করে উঠতে পারেনি তার পিছনে রয়েছে দ্বিধা। আর সেই দ্বিধার মূলে রয়েছে ভারত ও আমেরিকা!
আসলে এই মুহূর্তে ও আগামিদিনেও চিনের জলপথে বাণিজ্যের প্রধান পথ দক্ষিণ চিন সাগর। যা ভারত মহাসাগর ও লোহিত সাগর ও সরু রেখার মতো অবস্থিত মালাক্কা প্রণালী দিয়ে পারস্য উপসাগর, সুয়েজ খাল ও ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে যুক্ত। ৮০ শতাংশ বাণিজ্য এই জলপথেই করে চিন। আর এখানেই বেজিংয়ের ভয়, যদি তারা তাইওয়ানে হামলা করে দেয় তাহলে আমেরিকা ভারত অন্যান্য ইন্দো-প্যাসিফিক সঙ্গীদের নিয়ে মালাক্কায় চিনের বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ফলে ধাক্কা খাবে চিনা বাণিজ্য। শক্তি সম্পদ ও কাঁচামাল সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। চিনেরই এক কৌশলপত্র থেকেই এমনটা জানা যাচ্ছে।
এই ভয় থেকেই দ্বিধাগ্রস্ত বেজিং। তাই ফাইটার বোম্বার জেট, এইচ-৬ বোমারু বিমান, সুখোই-৩০, ইলেক্ট্রোনিক ওয়ারফেয়ার, সাবমেরিন ধ্বংসী ও ট্যাঙ্কার বিমান নিয়ে বারবার তাইওয়ানের ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়েও এখনও হামলার সাহস দেখাতে পারেননি জিনপিং। আগামিদিনেও পারবেন, সেই সম্ভাবনা ক্ষীণই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।