কটক, ৫ জুন– মাত্র তিনদিন আগে ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মারে গেছেন শয়ে-শয়ে মানুষ। আহত হাজার। মানুষের মনে এখনো দগদগে ঘা হয়ে রয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার স্মৃতি। আর এরই মাঝে ফের ফের ওড়িশাতেই লাইনচ্যুত হল মালগাড়ি । করমণ্ডল দুর্ঘটনা যেখানে হয়েছিল, সেখান থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে বড়গড় এলাকায় ফের একটি চুনাপাথর বোঝাই মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ন্যারো গেজ লাইনে ঘটেছে দুর্ঘটনাটি। ডুঙরি চুনাপাথর খনি এলাকা থেকে বড়গড়ের এসিসি সিমেন্ট প্ল্যান্ট পর্যন্ত রয়েছে লাইনটি। ওই লাইন, লোকোমোটিভ, ওয়াগন সবকিছুই কোম্পানির মালিকানার, ভারতীয় রেলের সঙ্গে কোনও সংযোগই নেই সেগুলির।
জানা গেছে, সোমবার সকালে খনি এলাকা থেকে চুনাপাথর নিয়ে এসিসি সিমেন্ট প্ল্যান্টের দিকে যাচ্ছিল মালগাড়িটি। সেই সময় আচমকাই কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।
প্রায় দু’দিন ধরে উদ্ধারকাজ চলে। তারপর শুরু হয় রেললাইনের ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ট্রেনের বগিগুলোকে সরানোর কাজ। রেল সূত্রে খবর, ট্রেনের বগি সরানোর পরই লাইন মেরামতির কাজ চলবে। ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে হতে বুধবার গড়িয়ে যাবে। রেলকর্মীরা দিনরাত এক করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
রবিবার সন্ধ্যাতেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো জানিয়েছিলেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলপথে রেললাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছে। ওভারহেড তার লাগানোর কাজ চলছে। তারপর রাত একটু বাড়তেই ডাউন লাইনে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করা হল। সূত্রের খবর, আজ রাতেই আপ লাইনেও একইভাবে ট্রেন চালানো হবে।
১৯৪৬ সালে প্রথম অভিনয় জগতে আসেন সুলোচনা। সেই শুরু। তারপর থেকে একের পর এক ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। ১৯৯৯ সালে ‘পদ্মশ্রী’ উপাধিতে ভূষিত হন সুলোচনা। ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে দু’বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতেই বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পাশের লাইনে দাঁড়িয়ে থকা মালগাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে চলা ট্রেনটি। ধাক্কার তীব্রতায় করমণ্ডলের একাধিক কামরা ছিটকে বেরিয়ে যায়, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির উপর গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পাশের লাইন দিয়ে যাওয়া বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী হামসফর এক্সপ্রেস। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৮৮। আহত হয়েছেন ১০০০ জনেরও বেশি।