• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

জখম, বিধ্বস্ত যাত্রীদের নিয়ে হাওড়ায় ফিরল উদ্ধারকারী ট্রেন 

হাওড়া , ৩ জুন – ওড়িশার বালেশ্বরে বিভীষিকাময় দুর্ঘটনাস্থল থেকে জখম, বিধ্বস্ত যাত্রীদের নিয়ে হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছল উদ্ধারকারী ট্রেন। যশবন্তপুর হাওড়া এক্সপ্রেস আহত যাত্রীদের নিয়ে এসে পৌঁছয়। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার  স্মৃতি নিয়ে পৌঁছলেন আহত যাত্রীরা। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাওড়ায় প্রস্তুত রাখা হয় মেডিক্যাল টিম। হাওড়া স্টেশনের বাইরেই রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। আহত যাত্রীদের যাতে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে

হাওড়া , ৩ জুন – ওড়িশার বালেশ্বরে বিভীষিকাময় দুর্ঘটনাস্থল থেকে জখম, বিধ্বস্ত যাত্রীদের নিয়ে হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছল উদ্ধারকারী ট্রেন। যশবন্তপুর হাওড়া এক্সপ্রেস আহত যাত্রীদের নিয়ে এসে পৌঁছয়। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার  স্মৃতি নিয়ে পৌঁছলেন আহত যাত্রীরা। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাওড়ায় প্রস্তুত রাখা হয় মেডিক্যাল টিম। হাওড়া স্টেশনের বাইরেই রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। আহত যাত্রীদের যাতে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা রাখা হয় রেলের তরফে।

হাওড়া স্টেশনের ৮ নম্বর প্লাটফর্মে এসে পৌঁছয় যশবন্তপুর হাওড়া ট্রেন। আহত বা অসুস্থ যাত্রীদের জন্য ৮ নম্বর প্লাটফর্মে আপৎকালীন মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি আহাতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। গুরুতর আহত যাত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে স্টেশন থেকে দ্রুত সেই অ্যাম্বুল্যান্স করে রেলের বিআরসিং হাসপাতাল বা যে কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
রেলসূত্রে খবর, আরও ১০০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়ায়  ফিরছে স্যর এম বিশ্বেশ্বরায়-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। খড়্গপুর স্টেশনে যাত্রীদের জল, চা এবং খাবার দেওয়া হয়। রেলসূত্রে খবর, একটি বিশেষ ট্রেন আটকে  পড়া যাত্রীদের নিয়ে শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ ভদ্রক থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় ।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ১১ টায় রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হল শনিবার সকাল পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ২৬১ জন। আহতের সংখ্যা ৬৫০। এর আগে সকাল ৯টায় রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল শনিবার সকাল পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ২৩৮ জন। সেই সংখ্যা এ বার ২৬০ ছাড়াল। ওডিশার মুখ্যসচিব প্রদীপ তেজ জানিয়েছেন, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯০০ যাত্রী। সঠিক হতাহতের সংখ্যা এখনও সঠিকভাবে নির্ণয় করা যাচ্ছে না।  আহত যাত্রীদের গোপালপুর, খাঁতাপাড়া, বালেশ্বর, ভদ্রক এবং সোরো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

হাহাকার আর ভয়ার্ত যাত্রীদের মুখছবি ওড়িশা ফিরতি এই ট্রেনে। শুক্রবার রাতের ঘটনা বর্ণনা করার মতো মানসিক পরিস্থিতিও তাঁদের নেই। কথা বলতে গেলেই কান্নায়  ভিজে যাচ্ছে চোখ, বুজে আসছে গলা।  অভিশপ্ত  দুর্ঘটনাস্থল  থেকে তাঁরা যে  প্রাণে বেঁচে ফিরে এসেছেন, সেটাই যেন এখনো পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁরা।  

শুক্রবার রাতে বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে একাধিক রেলের কামরা। লাইন থেকে ছিটকে পড়েছে একাধিক রেলের বগি। রাতের একপ্রস্থ উদ্ধারকার্যের পর সকালে ভোরের আলো ফুটতেই জোরকদমে উদ্ধার কার্য শুরু করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে যান ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সহ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
বায়ু সেনা, এনডিআরএফ  ঘটনাস্থলে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। শুক্রবার রাতে আলো কম থাকার কারণে উদ্ধারকাজে কিছুটা সমস্যা হয়। শনিবার সকাল থেকে দ্রুত গতিতে উদ্ধারকাজ শুরু হয় । এখনও পর্যন্ত বহু যাত্রী দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলের কামরা ভেতরে আটকে রয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে  ।