• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

ঘোরবদল, জুনেও পুড়ছে বঙ্গ আর ১০০ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টি মরুরাজ্যে 

জয়পুর,২ জুন– একেই বলে প্রকৃতির খামখেয়ালি। বা বলা যায় মানুষের কর্মফল। জুন এসে গেছে অথচ বৃষ্টির দেখা নেই কেরল বা বঙ্গে। মরসুম অনুসারে করলেই প্রথম দস্তক দেয় বৃষ্টি। কিন্তু শূন্য কেরল। অথচ প্রবল বৃষ্টিতে ভিজল মরুরাজ্য রাজস্থান।  দেশে বর্ষা ঢোকার আগেই এত বর্ষণ বিগত ১০০ বছরে দেখেনি রাজস্থান! আবহাওয়া দফতরের তরফে প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, চলতি

জয়পুর,২ জুন– একেই বলে প্রকৃতির খামখেয়ালি। বা বলা যায় মানুষের কর্মফল। জুন এসে গেছে অথচ বৃষ্টির দেখা নেই কেরল বা বঙ্গে। মরসুম অনুসারে করলেই প্রথম দস্তক দেয় বৃষ্টি। কিন্তু শূন্য কেরল। অথচ প্রবল বৃষ্টিতে ভিজল মরুরাজ্য রাজস্থান। 

দেশে বর্ষা ঢোকার আগেই এত বর্ষণ বিগত ১০০ বছরে দেখেনি রাজস্থান! আবহাওয়া দফতরের তরফে প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরে মে মাসে ৬২.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সে রাজ্যে। গত বছর এই একই মাসে বর্ষণের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৩.৬ মিলিমিটার! অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় এই বছর মে মাসে প্রায় ৫ গুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে রাজস্থানে। আরও কয়েক দিন ভারী বর্ষণ চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

মে মাসে ৬০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি শেষ বার হয়েছিল ১৯১৭ সালে। সে বছর ৭১.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল রাজস্থানে। ১০০ বছরের বেশি সময় পরে আবার প্রবল বর্ষণ হল মরুরাজ্যে। এটা জলবায়ু পরিবর্তনের কোনও ইঙ্গিত কি না, তার কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি আবহাওয়া দফতরের তরফে। এই বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং আরও কয়েকটি বছরের বৃষ্টিপাতের হার বিচার করার পরেই জানানো যাবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।

মূলত ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ঘন ঘন পশ্চিমি ঝঞ্ঝা তৈরি হওয়ার ফলেই রাজস্থানে এই ভারী বর্ষণ চলছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই ঝঞ্ঝার কারণেই অসময়ে বৃষ্টিপাত হয় দেশের উত্তর-পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজস্থানে বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি হয়েছে জোধপুর, অজমের, জয়পুর এবং ভরতপুরের মতো শহরগুলিতে। রবিবার এবং সোমবার বৃষ্টির প্রাবল্য বাড়তে পারে। বুধবার থেকে কমতে পারে বৃষ্টি।