• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ২ শ্রমিকের মৃত্যু , ৬ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক 

বাঁকুড়া, ৩১ মে –  বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় স্পঞ্জ কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ শ্রমিকের। মঙ্গলবার রাতেই মৃত্যু হয় একজনের, গুরুতর জখম আরও এক জনের মৃত্যু হয় বুধবার। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আরও বেশ কয়েকজন শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। একটি স্পঞ্জ কারখানার ব্লাস্ট ফার্নেসে বিস্ফোরণ হয়।সেই সময় সেখানে  প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণের সময় ব্লাস্ট

বাঁকুড়া, ৩১ মে –  বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় স্পঞ্জ কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ শ্রমিকের। মঙ্গলবার রাতেই মৃত্যু হয় একজনের, গুরুতর জখম আরও এক জনের মৃত্যু হয় বুধবার। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আরও বেশ কয়েকজন শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। একটি স্পঞ্জ কারখানার ব্লাস্ট ফার্নেসে বিস্ফোরণ হয়।সেই সময় সেখানে  প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণের সময় ব্লাস্ট ফার্নেসের ভিতরের গরম ধাতব তরল তাঁদের গায়ে পড়ে যায়।  ধাতব তরলে ঝলসে ভয়ঙ্করভাবে জখম হন অন্তত ১৫ জন শ্রমিক। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ১০ জনকে সেখান থেকে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 
মঙ্গলবার রাতেই মৃত্যু হয় মহম্মদ আজিজ নামে এক শ্রমিকের। তিনি বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা। কাজের সূত্রে থাকতেন বড়জোড়ায়। বুধবার ভোরে মৃত্যু হয় রমেশ কুমার নামে আরেক জন শ্রমিকের। তিনি উত্তরপ্রদেশের মুজফফপুরের বাসিন্দা তিনি। বর্তমানে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আরও ৬ শ্রমিকের অবস্থা এখনও সংকটজনক।
প্রসঙ্গত,বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।  ওই কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। ওই কারখানায় কাজের সময় কর্মচারীদের একটি নির্দিষ্ট পোশাক দেওয়ার কথা কর্তৃপক্ষের। কিন্তু তা আদৌ দেওয়া হয়েছিল কি না, তা খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বড়়জোড়া শিল্পতালুকে এই দুর্ঘটনার পর বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ এই জাতীয় অঘটন বড়জোড়া শিল্পতালুকে এর আগেও ঘটেছে। ব্লাস্ট ফার্নেস ফেটে শ্রমিকদের আহত হওয়ার মত ঘটনা আগেও ঘটেছে। সেক্ষেত্রে এই স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় ব্লাস্ট ফার্নেসের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ঠিকঠাক হত কি না, কারখানার কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হত কি না, সুরক্ষাবিধি মেনে চলা হত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট দফতর।