• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

তিন বাহিনীকেই ‘কাজে’ এক করার উদ্যোগ ,অফিসারদের কাজ করতে হবে তিন বাহিনীতেই

দিল্লি, ২৯ মে– অগ্নিবীর নিয়োগ নিয়ে গত বছর উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা ভারত। ভারতীয় সেনায় বড় পরিবর্তন এনে চার বছরের চুক্তিতে জওয়ান নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এবার আরেক পরিবর্তন, দেশের সেনাবাহিনীকে তিন ভাগে না রেখে গোটা সেনা বাহিনীকে যৌথ বাহিনী বা জয়েন্ট কমান্ড হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনায় এগোতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ভাবনায় আর্মি, নেভি

দিল্লি, ২৯ মে– অগ্নিবীর নিয়োগ নিয়ে গত বছর উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা ভারত। ভারতীয় সেনায় বড় পরিবর্তন এনে চার বছরের চুক্তিতে জওয়ান নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এবার আরেক পরিবর্তন, দেশের সেনাবাহিনীকে তিন ভাগে না রেখে গোটা সেনা বাহিনীকে যৌথ বাহিনী বা জয়েন্ট কমান্ড হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনায় এগোতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এই ভাবনায় আর্মি, নেভি এবং এয়ারফোর্সের সিনিয়র র‍্যাঙ্কের অফিসারদের তিন বাহিনীতেই এক হয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য নির্দিষ্ট বদলি নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে। যেমন পদাতিক সেনা বা আর্মির ক্ষেত্রে মেজর এবং লেফ্ট্যান্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসারদের বাছা হয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনীতে গিয়ে কাজ করার জন্য। একই ভাবে নেভি ও এয়ারফোর্সের সমমর্যাদার অফিসারদের পাঠানো হবে আর্মিতে।

প্রশ্ন হল, অন্য বাহিনীতে গিয়ে এই অফিসাররা কি সেই বাহিনীর যুদ্ধ কৌশল শিখবেন। অর্থাৎ আর্মি অফিসারকে কি যুদ্ধ জাহাজ, সাবমেরিন বা যুদ্ধ বিমান চালাতে হবে? প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তার ব্যাখ্যা, বিষয়টি মোটেই তা নয়। আর্মির অফিসার নেভি বা বিমান বাহিনীতে বদলি হওয়ার পর তিনি তাঁর আগের ভূমিকাই পালন করবেন। কিন্তু নতুন বাহিনীতে কাজ করার মধ্য দিয়ে তিনি সেই বাহিনীর কাজের সঙ্গে আর্মির কাজকে মেলানোর পথ বের করবেন। এভাবেই ওয়ার থিয়েটার গড়ে ওঠে।

এখন ভারতীয় সেনায় যৌথ কমান্ড আছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। সেখানে তিন বাহিনীর ইউনিট আছে। এছাড়া দিল্লির অদূরে আছে স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড। নয়া ভাবনায় গোটা দেশেই তিন বাহিনীর অফিসারদের গোটা সেনা বাহিনীর কাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা হবে এবং সেই মতো অভিন্ন যুদ্ধ কৌশল গড়ে তোলার পথে এগবে দেশ।

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত অনেক আগেই বাস্তবায়িত হওয়া দরকার ছিল। কারণ, যুদ্ধের কৌশল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে। পদাতিক সেনার অনেক ভূমিকারই এখন প্রয়োজন ফুরিয়েছে। বরং অন্য বাহিনীতে গিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে মূল বাহিনীতে আরও বেশি ভূমিকা পালন করতে পারবেন।

আসলে বাহিনীকে এভাবে গড়ে তোলার লক্ষেই নরেন্দ্র মোদির সরকার সেনাধ্যক্ষ বা চিফ অফ আর্মি স্টাফ পদটি পুনরায় চালু করে কয়েক বছর আগে। এই দফায় সেই পদে বসা বিপিন রাওয়াত বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার আগে সেনাকে যৌথ বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর বেশ কিছুদিন শূন্য ছিল সেনাধ্যক্ষের পদটি।

সেনা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্মির ৪০জন অফিসারকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিমান ও নৌ বাহিনীর ঘাঁটিতে বদলি করা হবে। ওই দুই বাহিনী থেকেও সমসংখ্যক অফিসার কিছুদিনের মধ্যেই আর্মিতে বদলি হবেন।