দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে বলে দেওয়া হয়েছে, আগে থেকে অনুমতি নিয়ে কোথাও কোনও কর্মসূচি করতে চাইলে প্রশাসন ভেবে দেখবে। যন্তরমন্তরের কাছাকাছি কোনও একটি জায়গায় অনুমতি দেওয়া যেতে পারে একদিন বা নির্দিষ্ট কর্মসূচিতে। তবে ধারাবাহিকভাবে তা করা যাবে না।
অলিম্পিকে পদকজয়ী সাক্ষী মালিক সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘দিল্লির পুলিশ যে আচরণ করছে যেন আমরা দেশদ্রোহী, সন্ত্রাসবাদী। কিন্তু আমরা সম্মান দাবি করেছি। আমরা বলেছি, যে লোকটা রেসলিং ফেডারেশনের মাথায় বসে প্রতিদিন অনাচার করে চলেছেন, সেই ব্রিজভূষণ সিংকে সরিয়ে দিতে।’
সাক্ষীর আরও বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় কুস্তিগিরদের ছবি ফোটোশপ করে যে নোংরামো করা হচ্ছে তাও তাঁদের প্রতিদিন অপমানে বিদ্ধ করছে। সাক্ষী থেকে বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাটদের বক্তব্য, কী কারণে ব্রিজভূষণকে সরানো যাচ্ছে না? কতটা প্রভাবশালী হলে এটা সম্ভব?
গতকাল যখন নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তখন সেদিকেই প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে ধেয়ে গিয়েছিলেন কুস্তিগিররা। তাঁদের আটকাতে গিয়ে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পেটানোর ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছিল দাবানলের মতো। প্রধানমন্ত্রী যখন সেনগলের সামনে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করছেন তখন রাস্তায় পুলিশের মার খেয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছেন কুস্তিগিররা। শত বিতর্কের পরেও কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়ানো তো দূর বরং তাদের যন্তরমন্তরের সামনে বসতে না দেওয়ারই নিদান দিল পুলিশ ।