• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পরিবেশ রক্ষার দৌড়ে ভারত নবম, ৮৯% বিদ্যুৎই ‘সবুজ’ নিয়ে  প্রথম ব্রাজিল

দিল্লি, ১৬ মে– ২০২৩ সালে জি-২০-র সভাপতিত্ব করছে ভারত। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক শক্তিসম্পদের ক্ষেত্রে কর্মরত ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ এমবার-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০টি দেশের মধ্যে পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহারের নিরিখে ভারতের অবস্থান নবম স্থানে । প্রথম স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ঘটনাচক্রে ভারতে উৎপন্ন শক্তিসম্পদের ৭৪% এখনও কয়লাকেন্দ্রিক। রিপোর্ট অনুযায়ী কয়লার বিকল্প হিসেবে ২০২২ সালে বায়ু ও সৌরশক্তির

দিল্লি, ১৬ মে– ২০২৩ সালে জি-২০-র সভাপতিত্ব করছে ভারত। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক শক্তিসম্পদের ক্ষেত্রে কর্মরত ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ এমবার-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০টি দেশের মধ্যে পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহারের নিরিখে ভারতের অবস্থান নবম স্থানে । প্রথম স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ঘটনাচক্রে ভারতে উৎপন্ন শক্তিসম্পদের ৭৪% এখনও কয়লাকেন্দ্রিক।

রিপোর্ট অনুযায়ী কয়লার বিকল্প হিসেবে ২০২২ সালে বায়ু ও সৌরশক্তির অবদান গোটা পৃথিবী জুড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১২%। প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে (২০১৫) কয়লার ব্যবহার কমাতে জি-২০ দেশগুলি অঙ্গীকারবদ্ধ হলেও বিশ্ব উষ্ণায়ন ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

প্যারিস সম্মেলন রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু সম্মেলনগুলির অন্যতম। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলি জলবায়ু পরিবর্তন প্রশ্নে বিশ্বজুড়ে কার্বন নির্গমন ঠেকাতে আইনত বাধ্য। সেক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে বায়ু ও সৌরশক্তির মতো অচিরাচরিত শক্তি ব্যবহারের উপর অংশগ্রহণকারী দেশগুলির সরকারের পক্ষ থেকে জোর দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন দেশ তাদের জাতীয় শক্তিসম্পদ সামগ্রিকভাবে গ্রিন এনার্জি বা পরিবেশ বান্ধব শক্তিতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করছে।

ভারত সরকার যেমন ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট উৎপন্ন শক্তিসম্পদের ৫০% অচিরাচরিত উৎস থেকে করার পরিকল্পনা করেছে। ভারতে এই মুহূর্তে বিদ্যুতের চাহিদাও ক্রমে বাড়ছে। ২০২২ সালে দেশে ঘন্টায় ১৮৩৬ টেরাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। তবুও ভারতে ৭৭% বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় কয়লা থেকে, তুলনায় বায়ু ও সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন রীতিমতো নগণ্য, মাত্র ৯%।

ভারতের পর জি-২০ সভাপতিত্বের দায়িত্ব বর্তাবে ব্রাজিলের উপর। ব্রাজিলে অচিরাচরিত শক্তি ব্যবহারের চিত্র অবশ্য ভারতের তুলনায় একেবারে আলাদা। ২০২২ সালে সে দেশের মোট ৮৯% বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় গ্রিন এনার্জি থেকে। মাত্র ১১% বিদ্যুৎ তৈরি হয় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে।

প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে বলা হলেও বাস্তব রিপোর্ট কিন্তু তা বলছে না। ব্রিটেন যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ৯৩% কমাতে সক্ষম হয়েছে সেখানে জি-২০-র ২০টি দেশের মধ্যে ১৩টি দেশই তা করতে পারেনি। ভারতের (৭৭%) পরেই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (৮২%) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (৮৬%)। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, পাঁচটি জি-২০ দেশে – ভারত, চিন, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া ও তুরস্কে কয়লার ব্যবহার বেড়েছে। অবশ্য আশার আলো, চিন ও ভারত কয়লা ব্যবহারের হার হ্রাস করতে সফল হয়েছে। ভারতে পাঁচ বছরে (২০১৫-’২২) কয়লা উৎপাদন কমেছে ৭৬% থেকে ৭৪%।