• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

“মহব্বতকে বাজার খুল চুকা হ্যায়।” কর্ণাটক জয়ে প্রতিক্রিয়া রাহুলের

দিল্লি, ১৩ মে–  দক্ষিণের রাজ্যটিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় ফেরার পথে কংগ্রেস। কার্যত নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বিজেপি। এ হেন সাফল্যের দিনও রাহুল গান্ধির মুখে শোনা গেল সেই পুরনো কথা। বললেন, “কর্ণাটক মে নফরত কি বাজার বন্ধ হো চুকে হ্যায়, অর মহব্বতকে বাজার খুল চুকা হ্যায়।” যার বাংলা তরজমা করলে দাঁড়ায়, ‘কর্ণাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে। ভালবাসার

দিল্লি, ১৩ মে–  দক্ষিণের রাজ্যটিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় ফেরার পথে কংগ্রেস। কার্যত নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বিজেপি। এ হেন সাফল্যের দিনও রাহুল গান্ধির মুখে শোনা গেল সেই পুরনো কথা। বললেন, “কর্ণাটক মে নফরত কি বাজার বন্ধ হো চুকে হ্যায়, অর মহব্বতকে বাজার খুল চুকা হ্যায়।” যার বাংলা তরজমা করলে দাঁড়ায়, ‘কর্ণাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে। ভালবাসার দোকান খুলে গিয়েছে।’ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলছেন, “এটা কর্ণাটকের মানুষের জয়। কর্ণাটকে কংগ্রেস গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এটা সবার জয়। কর্ণাটকের জয়। আমরা নির্বাচনে কর্ণাটকের জনতার কাছে পাঁচটি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সেটা পূরণ করব।”

কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিপুল জয়কে অনেকেই সেরাজ্যের হাত শিবিরের স্থানীয় নেতৃত্বের পরিশ্রমের ফল হিসাবে বর্ণনা করছেন। কংগ্রেস অবশ্য শুরু থেকেই এই জয়ের কৃতিত্ব রাহুল এবং ভারত জোড়ো যাত্রাকে দিতে চাইছে। ভোট ঘোষণার ঠিক মাস ছয়েক আগে দক্ষিণের রাজ্যটিতে নিজের যাত্রা নিয়ে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘পোস্টার বয়’। টানা ২২ দিন রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত চষে বাড়িয়েছেন তিনি। কংগ্রেসের দাবি, রাহুলের সেই যাত্রা যে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করেছে তাতে সন্দেহ নেই। দলে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আবহ ছিল, সেটাও অনেকাংশে মেটানো সম্ভব হয়েছে ওই যাত্রার সুবাদেই।

পরিসংখ্যানও বলছে, কর্ণাটকের স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি কর্ণাটকের সাফল্যের কৃতিত্ব রাহুলের প্রাপ্য। পরিসংখ্যান বলছে, রাহুল যে যে বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের প্রচার করেছেন, সেই কেন্দ্রগুলির ৭৫ শতাংশের বেশি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। যেখানে মোদির সাফল্যের হার ৪৫ শতাংশ, অমিত শাহর মাত্র ৩০ শতাংশের সামান্য বেশি। সেখানে রাহুলের এই বিশাল সাফল্যের হার প্রশংসনীয় তো বটেই। ফলাফলের দিন অবশ্য কংগ্রেসের যুবরাজ তেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেননি। শুধু বলে দিয়েছেন, আগামী দিনে অন্য রাজ্যেও এই সাফল্যের মডেলকে অনুসরণ করবে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে তাঁর চোখেমুখে দেখা গিয়েছে সন্তুষ্টির হাসি।