• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কর্ণাটকের সাফল্যের অন্যতম কৃতিত্বের কারিগর ভোটকৌশলী সুনীল কানুগোলু  

বেঙ্গালুরু, ১৩ মে –  বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকে ক্ষমতার আসনে কংগ্রেস। ত্রিশঙ্কু কর্নাটক বিধানসভার বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিতকে মিথ্যে প্রমান করে কর্নাটকে ১৩৬ টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, এই জয়ের কৃতিত্ব রাহুল গান্ধির  ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচি। তবে কর্নাটকে কংগ্রেসের এই জয়ের জন্য আর এক জনের কৃতিত্বকেও স্বীকৃতি দিতে চান দলের একাংশ। । ভোট

বেঙ্গালুরু, ১৩ মে –  বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকে ক্ষমতার আসনে কংগ্রেস। ত্রিশঙ্কু কর্নাটক বিধানসভার বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিতকে মিথ্যে প্রমান করে কর্নাটকে ১৩৬ টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, এই জয়ের কৃতিত্ব রাহুল গান্ধির  ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচি। তবে কর্নাটকে কংগ্রেসের এই জয়ের জন্য আর এক জনের কৃতিত্বকেও স্বীকৃতি দিতে চান দলের একাংশ। । ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সহযোগী সুনীল কানুগোলু। তিনিই এবার কংগ্রেসের মুখ্য ভোটকৌশলী। তাঁর কৌশলী পরামর্শকে পাথেয় করেই কর্নাটকের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে কংগ্রেস।
কর্নাটক কংগ্রেসে দলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব সবার জানা। ভোটের আগে এই দুই তারকা নেতার অভ্যন্তরীণ বিরোধ কপালে ভাঁজ ফেলেছিল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের। তবে কোনও রকম বিরোধ, বিবাদ ছাড়াই যৌথ নেতৃত্বে লড়াই করে কর্নাটকে কংগ্রেস যে জয় পেল, তার নেপথ্যেও রয়েছে সুনীলের কৌশল এমনটাই দাবি কংগ্রেস শিবিরের নেতাদের একাংশের। কংগ্রেস সূত্রে খবর ছিল, কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার পিছনেও ছিল সুনীলের কৌশল। এই সময় কর্নাটকে প্রায় দশ দিন সময় দেন রাহুল।
ভোটের ফলঘোষণার পর কংগ্রেস নেতাকর্মীরা যখন উৎসাহ-উৎসবে মাতোয়ারা , তখন সংবাদমাধ্যম সুনীলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি শুধু ধন্যবাদ জানিয়ে কংগ্রেস দফতরের ভিতরে চলে যান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পিকের সঙ্গী জানান, তিনি সহজ পন্থায় বিশ্বাসী। বিজেপিকে পরাস্ত করতে তিনি সপ্তাহে ৭ দিন ২০ ঘণ্টা কাজ করেন বলেও জানান তিনি।

কংগ্রেসের তরফে প্রথমে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে পরামর্শ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও তিনি তা নাকচ করে দেন।  সুনীল সম্পর্কে তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলে থাকেন, তিনি প্রথম থেকেই প্রচারবিমুখ। সুনীল আগে পিকের সংস্থা আইপ্যাকেও কাজ করেছেন। এর পরে পিকের সংস্থা থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে শুরু করেন তিনি। সুনীল যখন কংগ্রেসের মুখ্য ভোটকৌশলী হিসাবে দায়িত্ব দেন সোনিয়া গান্ধি , তখন কর্নাটকের ভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। সুনীল কংগ্রেসের সময়কৌশলের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই নাকি বিজেপি তাঁকে পেতে চায় । কিন্তু বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের২০২৪ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সুনীল বলেন, “আমি কংগ্রেসের আদর্শে বিশ্বাস করি। তাই এখানেই কাজ করতে চাই।”

২০২৪-এর মহারণের আগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কংগ্রেস। লোকসভা ভোটার আগে ‘টাস্ক ফোর্স ২০২৪’ গোষ্ঠীতেও রয়েছেন সুনীল কানুগোলু। ফলে আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে কৌশল স্থির করতে প্রধান কারিগর হয়ে দাঁড়াতে পারেন তিনিই।