• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মুসলিম সংরক্ষণ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করা যাবে না , জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত  

দিল্লি, ৯ মে – কর্ণাটকের মুসলিম কোটা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করা যাবে না, জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয়, আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে জনসমক্ষে মন্তব্য করতে পারেন না রাজনৈতিক নেতারা। প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের একাধিক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন বিজেপিই মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ প্রত্যাহার

দিল্লি, ৯ মে – কর্ণাটকের মুসলিম কোটা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করা যাবে না, জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয়, আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে জনসমক্ষে মন্তব্য করতে পারেন না রাজনৈতিক নেতারা। প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের একাধিক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন বিজেপিই মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ প্রত্যাহার করেছে।

বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকের বিজেপি সরকার ঘোষণা করে, মুসলিমদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ প্রত্যাহার করা হবে। পরিবর্তে ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের জন্য নির্দিষ্ট করা হয় ওই সংরক্ষণ। এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়।

মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী দুষ্ম্যন্ত দাভে তিন বিচারপতির বেঞ্চকে বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই দাবি করেছেন, তাঁর দল কর্ণাটকে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ প্রত্যাহার করেছে।” প্রসঙ্গত, কর্ণাটক ছাড়াও তেলেঙ্গানাতে মুসলিম সংরক্ষণ বাতিলের ডাক দেন তিনি। ফলে প্রশ্ন ওঠে, আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে প্রকাশ্য জনসভায় কী করে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মঙ্গলবার কর্ণাটকের মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পরেই অমিত শাহের মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন দাভে। তারপরেই বিচারপতিদের তরফে বলা হয়, “সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এইভাবে মন্তব্য করা যায় না। ১৯৭১ সালে এই একই কারণে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে আটক করা হয়েছিল।” তবে এদিন মামলায় কোনও রায় দেয়নি শীর্ষ আদালত। আগামী ২৫ জুলাই ফের কর্ণাটক মামলার শুনানি হবে।

সরকারি চাকরি, শিক্ষায় মুসলিম কোটা নিয়ে ভোটের কর্নাটক তেতে রয়েছে। রাজ্যের বিজেপি সরকার মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ চার শতাংশ সংরক্ষণ তুলে দিয়ে তা দুই শতাংশ হারে ভাগ করে দিয়েছে হিন্দুদের দুটি প্রভাবশালী জনগোষ্ঠী ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েতদের মধ্যে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি হিন্দু ভোটের সিংহভাগ নিজেদের দখলে আনার কৌশল নিয়েছে।

অন্যদিকে, বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে মুসলিমদের কাছে টানার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। সোমবার বিকালে প্রচার শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত এই ইস্যুতে ভোটের রাজনীতি ছিল সরগরম। যদিও ভোটের দিন ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্থগিতাদেশ জারি করে। মঙ্গলবার স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালত বলেছে, রাজ্য সরকার নয়া সংরক্ষণ নীতি এখন কার্যকর করতে পারবে না।

বিচারপতি কেএম জোসেফ, বিভি নাগারথনা এবং আহসানউদ্দিন আমানউল্লাহর বেঞ্চ বলেছে, ‘আদালতের বিচারাধীন মামলা নিয়ে মন্তব্য করা যায় না। অথচ মুসলিম সংরক্ষণ নিয়ে প্রকাশ্যেই অনেক কথা হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। মামলার রায় ঘোষণার আগে কেউ আর এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারবেন না।’