লখনউ, ৮ মে– পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই প্রকাশ রাস্তায় খুন হন উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত ডন আতিক আহমেদ। পুলিশের গুলিতে মারা যায় তার ছেলেও। সেই আতিকের মৃত্যুর পর উঠে আসে তার স্ত্রী শায়েস্তার নাম। উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদের স্ত্রী শায়িস্তা পরভিনকে হন্যে হয়ে খুঁজছে যোগীর পুলিশ। এবার শায়েস্তাকে ‘মাফিয়া’ ঘোষণা করা হল। নতুন করে একটি এফআইআর করা হয়েছে আতিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে, সেখানেই তাঁকে মাফিয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, আতিকের সঙ্গে রয়েছে বন্দুকবাজ সাবির আলি। তাঁর মাথার দাম ৫ লক্ষ টাকা।
উল্লেখ্য, উমেশ পাল খুনে অন্যতম অভিযুক্ত সাবির। যোগীর পুলিশের দাবি মাঝে সাবিরের ছেলের বন্ধু আতিন জাফরের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল শায়েস্তা এবং তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গে সাবির। ২ মে পুলিশ আতিনের বাড়িতে অভিযান চালায়। যদিও ততক্ষণে শায়েস্তা-সাবির সেখান থেকে পলাতক হয়েছে। আতিনকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে। শায়েস্তার খোঁজ পেতে মরিয়া যোগীর পুলিশ। তাঁকে মাফিয়ে ঘোষণা করে তদন্ত গতি আনতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এদিকে আতিকের ছোট ছেলে আলিকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে প্রয়াগরাজের নৈনি জেলে রয়েছে সে। তাঁকে হেফাজতে নিতে রবিবার ওই জেলে গিয়েছিল পুলিশের একটি দল। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আলিকে হেফাজতে নিতে চাইছেন পুলিশকর্তারা।
প্রসঙ্গত, আতিক আহমেদ হত্যার পর দুই সপ্তাহ কেটে গেলেও যোগীরাজ্যের গ্যাংস্টার নেতাকে নিয়ে নতুন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। গত ১৫ এপ্রিল আতিক-আশরফ খুন হন। প্রয়াগরাজ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য আনা হয়েছিল তাঁদের। তখনই পুলিশি নিরাপত্তা ডিঙিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয় দুই অপরাধীকে। সাংবাদিকদের সামনে হত্যালীলার পর গ্রেপ্তার করা হয় তিন দুষ্কৃতী লবলেশ, অরুণ এবং সানিকে। এর মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন ‘এনকাউন্টার’ এড়াতে নিজের উপর ভুয়ো হামলার ছক কষেছিলেন ‘গ্যাংস্টার’ সাংসদ আতিক।