• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মনিপুর নিয়ে সোমবার একাধিক মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে  

ইমফল, ০৮ মে –  মণিপুরের পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো মোতায়েন রয়েছে সেনা, আধা-সেনা ও অসম রাইফেলসের বাহিনী।  এদিকে মনিপুরের অশান্তি নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সব পক্ষের বক্তব্য শুনবে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসীমা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চে মণিপুর সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি হওয়ার কথা। এদিকে  মণিপুর নিয়ে  অবশেষে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয়

ইমফল, ০৮ মে –  মণিপুরের পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো মোতায়েন রয়েছে সেনা, আধা-সেনা ও অসম রাইফেলসের বাহিনী।  এদিকে মনিপুরের অশান্তি নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সব পক্ষের বক্তব্য শুনবে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসীমা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চে মণিপুর সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি হওয়ার কথা। এদিকে  মণিপুর নিয়ে  অবশেষে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্য, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । সবার কাছে তাঁর আহ্বান, সকলে শান্তি বজায় রাখুন। তবেই রাজ্যে  স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে ।
দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় মনিপুরে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এই রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত  ক্ষমতা নিজের হাতে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত ,গত বেশ কয়েকদিন ধরেই মণিপুরের সংখ্যাগুরু মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিক্ষোভ-হিংসার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় প্রশাসনের তরফে। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। আতঙ্কে ঘরছাড়া বহু মণিপুরবাসী । কয়েক হাজার আদিবাসী অসমে আশ্রয় নেন। সংঘর্ষপূর্ণ  এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সাধারণ মানুষ যাতে ওষুধ, খাবারের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কিনতে পারেন, তার জন্যই কোন কোন অঞ্চলে কার্ফু প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় জানানো হয়। এর মধ্যে রবিবার সকালে নতুন করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি তুললেন শশী থারুর।
মণিপুরের মেটেই জনজাতিকে তফসিলি উপজাতির তকমা দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। মণিপুরের বিজেপি সরকার সেই দাবি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। তাতেই ক্ষুব্ধ কুকি-সহ অধিকাংশ আদিবাসী সংগঠন। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে। কোনও ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের এই বিষয়ে শঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
মণিপুরের শাসক দল বিজেপির বিধায়ক তথা মণিপুর বিধানসভায় ‘হিলস এরিয়া কমিটি’র চেয়ারম্যান ডিনগ্যাংলাং গাংমেই মণিপুর হাই কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। মণিপুর ট্রাইবাল ফোরাম নামের একটি সংগঠনও রাজ্যের তফসিলি জনজাতিদের উপর আক্রমণের অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছে। যাবতীয় মামলার শুনানি সোমবার।