কলকাতা , ৬ মে – রাজ্যের সরকারি ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চালিত স্কুলগুলির শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন পড়াতে পারবেন না বলে আবার জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। এই নিয়ম আগে থেকেই জারি থাকলেও নিয়মভঙ্গ করে এক শ্রেণির শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে জড়িত। তাঁরা হয় ব্যাক্তিগতভাবে অথবা বিভিন্ন প্রাইভেট টিউশন ইনস্টিটিউশনে পড়াচ্ছেন। সরকারি শিক্ষকরা যে কোনওভাবেই প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না সে নির্দেশ আগেই জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে আবার সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পর্ষদকে সতর্ক করল আদালত। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিধি ভেঙে প্রাইভেট টিউশনে যুক্ত স্কুলশিক্ষকদের বিরুদ্ধে পর্ষদ ও সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে তিন মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নয়তো সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতই পদক্ষেপ করবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার ওই নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত, স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন অবৈধ বলে আগেও নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
মামলাকারী প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক দীপঙ্কর দাস জানান, ‘‘আমি সমস্ত গৃহশিক্ষক ও গৃহশিক্ষিকাদের উদ্দেশে বলব, সরকারি নির্দেশটা আমাদের পক্ষেই ছিল, হাই কোর্টের নির্দেশও আমাদের পক্ষে গেল। এখন থেকে প্রত্যেকের নিজের নিজের এলাকায় টিউশনরত স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নামের তালিকা তৈরি করা হবে।’’