• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সুপ্রিয়া নয় সারোদেই ভরসা কমিটির, এনসিপির প্রধান হিসাবে পওয়ারকেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব

মুম্বাই, ৫ মে– বেশ কয়েকদিন ধরে এনসিপির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন দলের কর্মীরা। কারণটা হল এনসিপির সভাপতি শরদ পওয়ারের ইস্তফা। তাঁর ইস্তফার পরেই পাওয়ার কন্যা সুপ্রিয়া সুলের হাথে পার্টির রাশ দেওয়ার কথা উঠে আসছিল। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ কমিটির সুপ্রিয়া নয় শরোদেই যে ভরসা যা স্পষ্ট হয়ে গেল শুক্রবার। এদিন  শরোদকেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করল দলের

মুম্বাই, ৫ মে– বেশ কয়েকদিন ধরে এনসিপির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন দলের কর্মীরা। কারণটা হল এনসিপির সভাপতি শরদ পওয়ারের ইস্তফা। তাঁর ইস্তফার পরেই পাওয়ার কন্যা সুপ্রিয়া সুলের হাথে পার্টির রাশ দেওয়ার কথা উঠে আসছিল। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ কমিটির সুপ্রিয়া নয় শরোদেই যে ভরসা যা স্পষ্ট হয়ে গেল শুক্রবার। এদিন  শরোদকেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করল দলের অভ্যন্তরীণ কমিটি। 

গত মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে এনসিপি প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’। তাঁর এই ঘোষণায় মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। তাঁর এই ঘোষণার নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে, তা নিয়ে যেমন জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তেমনই দলে পওয়ারের উত্তরাধিকারী কে হবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সে সব ঠিক করতে নিজেই একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রবীণ এই রাজনীতিক। শুক্রবার প্রথম বৈঠকে বসে সেই কমিটি পওয়ারের ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিয়ে তাঁকেই জাতীয় সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করল।

বৈঠকের পর ওই কমিটির অন্যতম সদস্য তথা পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ারের ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা প্রফুল্ল পটেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “পওয়ার দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু আমরা সবাই মিলে তাঁর ওই সিদ্ধান্তকে খারিজ করে তাঁকেই দলের সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি।” এই প্রসঙ্গে আবেগের বিষয়টিও যে জুড়ে আছে, তা-ও স্পষ্ট করে দেন প্রফুল্ল। তাঁর কথায়, ‘রাজ্যের বিভিন্ন জেলার দলীয় কর্মীরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা কিছুতেই পওয়ারকে অবসরে যেতে দেবেন না।” ঘটনাচক্রে, কমিটির বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই এনসিপির সদর দফতর, এমনকি পওয়ারের বাসভবন সিলভার ওকের সামনে উচ্ছ্বাসে মাতেন কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের প্রিয় ‘সাহেব’ পওয়ার এনসিপি সভাপতি পদে থেকে যাওয়ায় বাজি পুড়িয়ে উচ্ছ্বাসে মাতেন তাঁরা।