• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

বর্ণময় মেরুজ্যোতি ‘অরোরা বোরিয়ালিস’ লাদাখের আকাশেও 

লাদাখ, ৫ মে – ‘মেরুজ্যোতি’  – এক অপার মহাজাতিক সৌন্দর্য।  রাতের আকাশে হঠাৎই  সাতরঙা রামধনুর ছটা। রংবেরঙের আলোর ঝর্ণধারা যেন আছড়ে পড়ছে পৃথিবীর বুকে। আকাশ জুড়ে এই আলোর রোশনাই হল অরোরা বোরিয়ালিস।  এতদিন এই স্বর্গীয় দৃশ্য শুধু  উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুর আকাশে দেখা যেত। এখন নাকি তা দেখা যাচ্ছে ভারতের লাদাখের আকাশেও।   মেরুপ্রদেশের পরিচিত

লাদাখ, ৫ মে – ‘মেরুজ্যোতি’  – এক অপার মহাজাতিক সৌন্দর্য।  রাতের আকাশে হঠাৎই  সাতরঙা রামধনুর ছটা। রংবেরঙের আলোর ঝর্ণধারা যেন আছড়ে পড়ছে পৃথিবীর বুকে। আকাশ জুড়ে এই আলোর রোশনাই হল অরোরা বোরিয়ালিস।  এতদিন এই স্বর্গীয় দৃশ্য শুধু  উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুর আকাশে দেখা যেত। এখন নাকি তা দেখা যাচ্ছে ভারতের লাদাখের আকাশেও।  

মেরুপ্রদেশের পরিচিত দৃশ্য এবার ভারতের আকাশে। স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় জ্যোতির্বিজ্ঞান মহলে। লাদাখের হানলেতে ইন্ডিয়ান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজার্ভেটরির ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরায় ধরা পড়ে ২২ ও ২৩ এপ্রিলে লাদাখের আকাশ রাঙিয়ে দিয়েছে নানা রঙের আলোর ছটায়। আইএও কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর , উপত্যকার আকাশ কমলা, সবুজ, সাদা ও হলুদ রঙের আলোয় ভরে ওঠে। তাঁদের মতে ভারতের আকাশে অরোরা বোরিয়ালিস যাঁরা উপভোগ করেছেন তাঁদের কাছে এই অভিজ্ঞতা সারাজীবনের জন্য অত্যন্ত দুর্লভ সঞ্চয় হয়ে  থাকবে । ২০১৫ সালের পর এই প্রথম এমন দৃশ্য দেখা গেল বলে  জানান মহাকাশবিদরা।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে সৌর বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মেরুজ্যোতি বা অরোরা বোরিয়ালিসের জন্ম  । এই সংঘাতের ফলে ম্যাগনেটোস্ফেরিক প্লাজমায় ইলেকট্রন, প্রোটন ও অন্যান্য ধাতব অংশের গতিপথ পাল্টে যায়। তখন তারা এসে জমা হয় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অন্তর্গত থার্মোস্ফিয়ার বা আয়নোস্ফিয়ারে। এর ফলে মেরু বৃত্তের রাতের আকাশ রংবেরঙের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে । জন্ম  হয় অরোরা বোরিয়ালিসের ।

 এই বর্ণময় ছটা প্রত্যক্ষ করার আদর্শ স্থান নরওয়ে। উত্তর মেরুর কাছাকাছি এই অঞ্চল থেকে নাকি বোরিয়ালিসের দেখা পাওয়ার আশায় পাড়ি দেন বহু পর্যটক। তবে সেই প্রত্যাশাও পূরণ হয় না অনেক সময়, কারণ প্রকৃতির মর্জি, কুয়াশা, তুষারপাতের ওপর নির্ভর করে মেরুজ্যোতির দেখা পাওয়া। তাই গত মাসে লাদাখে যাঁরা এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন নিজেদের তাঁরা ভাগ্যবান বলে মনে করছেন ।