বেলগ্রেড , ৩ মে – স্কুলে ঢুকে ক্লাস শুরু হতেই গুলি চালাল সপ্তম শ্রেণির এক পড়ুয়া। গুলিবৃষ্টির মধ্যে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আট শিশুর। গুলিতে প্রাণ হারান স্কুলের এক নিরাপত্তারক্ষীও। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ছয় শিশু। জখম হয়েছেন এক শিক্ষকও। স্কুল চত্বর থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে।বুধবার সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে ঘটেছে এই ভয়াবহ ঘটনা।
ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ। প্রতিদিনের মতো ক্লাসে এসে সবে পড়াতে শুরু করেছেন শিক্ষক। সবাই একমনে শিক্ষকের পড়া শোনার সময় আচমকাই চেয়ার ছেড়ে উঠে শিক্ষককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এক ছাত্র। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিক্ষক। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ক্লাসে। কিছু বোঝার আগে তাদেরও লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে আরম্ভ করে বন্দুকধারী । বুধবারের এই ঘটনায় ৮ শিশু এবং ১ নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছে সার্বিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
বেলগ্রেডের ভ্লাদিসলভ রিবনিকার এলিমেন্টারি স্কুলে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ছাত্রটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৯ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৬ শিশু এবং ক্লাস নিচ্ছিলেন যে শিক্ষক সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুলি-হামলার সময় ক্লাসরুমে থাকা এক ছাত্রীর বাবা মিলান মিলোসেভিচ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘আমার মেয়ে কোনও ক্রমে বেঁচে বেরিয়ে এসেছে। ছেলেটা প্রথমে ক্লাসের শিক্ষককে গুলি করেছে। তার পর গোটা ক্লাসে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে।’’ মেয়ের মুখে ওই আক্রমণকারী ছাত্র সম্পর্কে সম্পর্কে জেনেছেন মিলান। তিনি বলেন, ‘‘ শান্ত ছেলে হিসেবে পরিচিত ওই পড়ুয়া। ক্লাসেও সে চুপচাপ থাকত । কিছু দিন আগেই সে এই স্কুলে ভর্তি হয়েছে।’’
পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানায় , ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কী কারণে ওই পড়ুয়া ক্লাসে গুলি চালাল তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। এই ধরণের হামলার ঘটনা সার্বিয়ায় সাধারণত ঘটে না। কারণ সেখানে রয়েছে কড়া অস্ত্র আইন। তা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই শিশুর কাছে বন্দুক এল, এবং সে বন্দুক নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।