• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ছত্তিশগড় বিস্ফোরণে পুরোনো কৌশল, সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বিস্ফোরক রাখা হয় কয়েক মাস আগে 

 দিল্লি –  ছত্তীসগড়ের দন্তেওয়াড়ায় পুলিশকর্মী হত্যায় উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। যেভাবে সেখানে মাওবাদীদের প্রতিপত্তি বাড়ছে তাতে নড়েচড়ে বসেছে পলিসি প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে খবর,  মাস দুয়েক আগে আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছিল রাস্তা খুঁড়ে মাটির অনেকটা নিচে। প্রশ্ন উঠছে, আগে কেন ওই বিস্ফোরকের হদিস পেল না পুলিশ?  গত বুধবার পুলিশের কনভয়ের উপর আক্রমণ হানে মাওবাদীরা। নিহত হন ডিআরজি -র ১০

 দিল্লি –  ছত্তীসগড়ের দন্তেওয়াড়ায় পুলিশকর্মী হত্যায় উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। যেভাবে সেখানে মাওবাদীদের প্রতিপত্তি বাড়ছে তাতে নড়েচড়ে বসেছে পলিসি প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে খবর,  মাস দুয়েক আগে আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছিল রাস্তা খুঁড়ে মাটির অনেকটা নিচে। প্রশ্ন উঠছে, আগে কেন ওই বিস্ফোরকের হদিস পেল না পুলিশ?  গত বুধবার পুলিশের কনভয়ের উপর আক্রমণ হানে মাওবাদীরা। নিহত হন ডিআরজি -র ১০ জওয়ান। বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয় ৫০ কেজি আইইডি ।

অনেকটা গভীর গর্ত খুঁড়েছিল মাওবাদীরা। হাতে সময় নিয়ে তৈরি করা হয় দীর্ঘ সুড়ঙ্গ। গত কয়েক মাস ধরে দান্তেওয়াড়ার জঙ্গলে ৫০ কেজি আইইডি বিছিয়েছিল মাওবাদীরা ! তদন্তে নেমে এই তথ্য মেলে বাস্তার পুলিশ সূত্রে।  হামলা চালানোর ক্ষেত্রে এই পুরোনো পন্থা  মাওবাদীদের কাছে এখনো  সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। একে ‘ওয়্যারড আইইডি’ বলা হয়। আইইডি বিস্ফোরণে দান্তেওয়াড়ার জঙ্গলে পুলিশের একটি গাড়ি ঝাঁঝরা হয়ে যায়। ছিন্নভিন্ন হয়ে যান গাড়িতে থাকা ১০ ডিআরজি কর্মী এবং চালক। 

পুলিশের এক সূত্রের খবর, মাস দুয়েক আগে আইইডি রাস্তার নীচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এত দিনের মধ্যেও কেন ওই বিস্ফোরকের হদিস পেল না পুলিশ? এক সংবাদমাধ্যমকে সিআরপিএফের প্রাক্তন ডিজি কুলদীপ সিংহ বলেন, “বহু কাল ধরে এই পন্থায় হামলা চালিয়ে আসছেন মাওবাদীরা। আইইডি পুঁতে রেখে হামলা তাঁদের কাছে সবচেয়ে সহজ পন্থা । এই কাজে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা পেয়ে যান মাওবাদীরা। রাস্তা  ৪-৫ ফুট গর্ত করে তার মধ্যে বিস্ফোরক রেখে ভাল করে চাপা দিয়ে রাখা হয়। তার উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়। তার ফলে অত্যাধুনিক যন্ত্রেও সেই বিস্ফোরকের অস্তিত্ব ধরা পড়ে না।  বুধবারে দন্তেওয়াড়ায় যে হামলা চালানো হয়, সে ক্ষেত্রেও একই কৌশল নেন মাওবাদীরা।

ওয়্যারড আইইডি-র ক্ষেত্রে  ২০০ থেকে ৩০০ মিটার দূর থেকে তারের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বস্তার রেঞ্জের পুলিশ ইনস্পেক্টর জেনারেল সুন্দররাজ পি বলেন, “বিস্ফোরকের সঙ্গে যে তার জোড়া হয়, সেটি মাটির নীচ দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। মাটির উপর ঘাস, গাছ-গাছালি গজিয়ে ওঠায় কিছুই বোঝা যায় না।  এখন জম্মু -কাশ্মীরের জঙ্গিরাও এই কৌশল অবলম্বন করছে। তবে মাওবাদীদের সঙ্গে জঙ্গিদের আক্রমণের ফারাক রয়েছে বলে জানান সিআরপিএফের প্রাক্তন ডিজি কুলদীপ।